প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতির নামে ছাএী ধর্ষন মামলা

স্টাফ রিপোর্টার

স্টাফ রিপোর্টার

১ আগস্ট, ২০২২, ১ year আগে

প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতির নামে ছাএী ধর্ষন মামলা

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ চেষ্টা অভিযোগে শামসুল হক (৪০) নামে মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি কে আসামি করে আদালতে পিটিশন মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।

পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে গত মঙ্গলবার (৩১ মে) মামলা করা হয়। মামলার বাদী মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালি ইউনিয়নের বাজিতে তৃতীয় খন্ড গ্রামের হাকিম ব্যাপারীর মেয়ে ও পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। মামলায় উপজেলার মাধবখালি ইউনিয়নের সৌজলিয়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে ও মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শামসুল হকসহ অজ্ঞাত আরো দু-তিন জনকে আসামি করা হয়।

মামলার আইনজীবী জানান, পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক মোঃ মাইনুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে আগামী তদন্ত করে ৬ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এক সন্তানের জনক শামসুল হক বাজিতা তৃতীয় খণ্ড গ্রামের কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে (২৩)এক বছর যাবৎ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাতে সে রাজি না হয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে নালিশ করেন।

নালিশের জেরে গত বুধবার (২৫ মে) সকাল ৯ টায় ভুক্তভোগীর ভাইকে বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে পেয়ে শামসুল হকসহ আরে দু-তিনজনে মারধর করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

তিনদিন পরে শনিবার (২৮ মে) বিকেলে অভিযোগের বিষয় খোঁজখবর নিতে থানায় যান । সেখান থেকে ফেরার পথে ঘটনার দিন রাত ৮ টায় বাজিটা চতুর্থ খন্ড এলাকায় শামসুল হকসহ আরো দু-তিনজন পথ রোধ করে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে জোর জবরদস্তি করে পরনের কাপড় চোপড় ছিড়ে ফেলে টেনে হিচরে রাস্তার পাশে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

এ সময় ধস্তাধস্তিতে মুখের গামছা সরে গেলে ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে শামসুল হকসহ তারা পালিয়ে যায়। মামলার বাদী ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষার্থী জানান, এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।

মামলার বিষয়ে জানতে মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি অভিযুক্ত শামসুল হকের মুঠোফোনে কল করলে ব্যস্ততার অজুহাতে ফোনটি কেটে দেন। এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পটুয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ পরিদর্শক সূজন দাস বলেন, অফিসিয়াল ভাবে মামলাটি পেয়েছি। মামলাটি তদন্তাধীন অবস্থায় আছে। তদন্ত করে যথাসময়েই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

পত্রিকাএকাত্তর /মনিরুল ইসলাম

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news