দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে পাওনা টাকার জন্য ৪নং দিওড় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডলের নামে থানায় জিডি করা হয়েছে। জিডি সুত্রে জানা যায়, দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার শিমর গ্রামের নূর আলম সিদ্দিকী ছেলে মোস্তফা আজম এর মোবাইলের দোকান থেকে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ৪নং দিওড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মালেক মন্ডল গত ৬ মাস পূর্বে ২৫ হাজার টাকার একটি মোবাইল ফোন ক্রয় করেন।
সে সময় তিনি মোবাইলের দোকান মালিক মোস্তফা আজমকে ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। বাঁকি টাকা আব্দুল মালেক মন্ডল চেয়ারম্যান ১০-১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধের অঙ্গীকার করেন।
কিন্তু, পাওনা টাকার নেওয়ার জন্য ১০-১৫ দিন পর আমি টাকা চাইলে সে বিভিন্ন তারিখে আমাকে টাকা দেওয়ার কথা বলে ঘুরাতেই থাকে। এভাবে প্রায় ৬ মাস অতিবাহিত হলেও সে আমার পাওনা টাকা পরিশোধ করে নাই। উপরন্ত টাকা দেওয়ার কথা বলে আমাকে বিভিন্ন তারিখে আসতে বলেও টাকা না দিয়ে আমার সময় ও অর্থ অপচয় করিয়া থাকে।
এরূপ অবস্থায় তাহার দেওয়া তারিখ মোতাবেক আমি গত৫/০৭/২০২২ইং তারিখ বৈকাল ৩টায় ৪নং দিওড় ইউপি পরিষদের তার সাথে সাক্ষাৎ করিয়া আমার পাওনা টাকার কথা বলিলে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া ওঠে। এক পর্যায়ে সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ঘর হইতে বাহির করিয়া দেন।
প্রকাশ্যে জনসম্মুখে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। ইহার প্রতিবাদ করিলে সে আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকী ধামকী দিয়ে পরিষদ থেকে বাহির করিয়া দেয়।
উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী মোস্তফা আজম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় জিডি করেছেন। জিডি নং ২৬১, তাং০৫/০৭/২০২২ইং। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকালে জিডির বিষয়ে বিরামপুর উপজেলার ৪নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডলের সঙ্গে মুঠোফোন(০১৭৮০- ৮১৫৯১৫) একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা জিডির তদন্তের জন্য কোর্টে অনুমতির জন্য আবেদন করেছি। কোর্টের অনুমতি পেলেই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পত্রিকাএকাত্তর /এবিএম মুছা