ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষণ মামলায় আসাদুজ্জামান ওরফে রিজভীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।১২ বছর পর ধর্ষণ মামলার রায়যাবজ্জীবন ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে এটি নিষ্পত্তি করা হলো।
মঙ্গলবার (২৪ মে) ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ) মো. গোলাম ফারুক এ রায় দেন। রিজভী রানিশংকৈল উপজেলার করনাইট গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রানীশংকৈল উপজেলার করনাইট গ্রামের ওই তরুণী ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশোনার সময় পৌর শহরের গোবিন্দনগর এলাকার এক ছাত্রাবাসে থাকতেন। ঘটনার দিন ২০১০ সালের ২৭ মে অভিযুক্ত রিজভী তাকে শোফা কেনার কথা বলে শহরের টাংগন ব্রিজে ডেকে নেন।
সেখানে গেলে তাকে মোটরসাইকেল নিয়ে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ও পরে রানীশংকৈলের খন্দকার হাই আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ছাত্রাবাসে পৌছে দেয়। তরুণী বিষয়টি তার বাবাকে জানালে পরদিন রিজভীর পক্ষ থেকে মিমাংসার কথা বললেও তা হয়নি। ২০১০ সালের ২৯ মে ভুক্তভোগী রানীশংকৈল থানায় ধর্ষণ মামলাটি করেন।
ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আব্দুল হামিদ ধর্ষণ মামলায় আসাদুজ্জামান ওরফে রিজভীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পত্রিকা একাত্তর /আনোয়ার হোসেন আকাশ