ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চাই’’ অনুষ্ঠিত হল

অতিথি লেখক

১৪ মে, ২০২২, ১ year আগে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চাই’’ অনুষ্ঠিত হল

ছোট ভাইয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর এবং ছোট ভাইয়ের ওয়ারিশদের কোটি টাকার ধন-সম্পত্তি লুটপাট করার বিচার চাওয়ায় উল্টো সর্বোচ্চ আদালতের আপীল বিভাগের আইনজীবীর নামে মামলা

প্রতি: সকল ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্টিং মিডিয়ার প্রাণপ্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা ও বোনেরা, সংবাদের বিষয়টি দয়া করে প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে চির কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করবেন, অনুরোধ এবং বিষয়টি জনস্বার্থে রাষ্ট্রের সমাজ চিন্তায় আইনের শাসনে ভূমিকা রাখবে।

প্রিয় সংগ্রামী সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা

যদি শাহনাজ আক্তার খুকু (স্বামী অস্বাভাবিক মৃত্যুর শিকার শেখ গাউছুল হক আল মামুন, সাং- মধ্য মলুহার, ইউনিয়ন-ইলুহার, থানা- বানারীপাড়া, জেলা- বরিশাল।)-কে বিচার বিভাগীয় তদন্তে বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে আণয়ন করা হয় তাহলে তার স্বামীর মৃত্যু অস্বাভাবিক ভাবে বিষয়ে খুকুর জড়িত থাকার বিষয় উন্মোচিত হবে। ঘটনাটি আমি ২৭/৭/২০২১ তা স্বাক্ষরিত আস্বাভাবিক মৃত্যুর জিডির আবেদনে বানারীপাড়া থানা বরাবরে দিয়েছি।

আমি উক্ত জিডিতে উল্লেখ করেছি যে, আইনি চোখে শাহনাজ আক্তার খুকুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার স্বামী মামুনের অস্বাভাবিক মুত্যুর সাথে জড়িত বিষয়টি উন্মোচিত হবে। পরিকল্পিতভাবে ১৪/৭/২০২১ তাং শেখ গাউছুল হক আল মামুন @ স্পেন মামুনকে হত্যা করা হয়েছে এবং তারে হত্যার পরপরই শাহনাজ আক্তার খুকু “আল মামুন পোল্ট্রি ও ফিসারী খামার” নামের ২টি খামার ও সংশ্লিষ্ট সম্পদ ও মাছের পুকুর ইত্যাদি আত্মসাৎ করেছে এবং তার কাছে অনেক ব্ল্যাংক কাগজে মামুনের স্বাক্ষর আছে যা দিয়ে শেখ পরিবারকে মালুহারের বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করবে বলে আমাদেরকে বা শেখ পরিবারকে অবিরাম হুমকি দিচ্ছে এবং শেখ পরিবারের সকলের ফসল একা খুকু মাস্তান নিয়ে লুট করে নিচ্ছে।

শাহনাজ আক্তার খুকুর একনিষ্ট ইচ্ছা ছিল শেখ গাউছুল হক আল মামুনকে শেষ করে দেয়া এবং মামুন সাহেবের সমস্ত সম্পদ আত্মসাৎ করা। অস্বাভাবিক ভাবে মৃত শেখ গাউছুল হক আল মামুন @ স্পেন মামুন কে (কথিত) দীর্ঘদিন তার স্ত্রী শাহানাজ আক্তার খুকু শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করেছেন এবং স্পেন মামুনের মৃত্যু হয়েছে । স্পেন মামুনের মৃত্যুর পূর্বে মগ বাজারের ফ্ল্যাট, বরিশাল কাউনিয়ার ২টি ফ্ল্যাট, বানারীপাড়ার মাছরংয়ের বাড়ী এবং ২টি খামারের দৈনিক আয় ৪০,০০০/= টাকা এভাবে ৪ (চার) বৎসরের আয় স্পেন মামুনের ব্যাঙ্কে ছিল।

বানারীপাড়া টিএন্ডটি মোড়ের বাড়ী বাইশারী কলেজের পাশে সম্পত্তি বিক্রয় করে প্রায় ১.৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন কিন্তুু বসবাসের অর্থাৎ স্পেন বাজার ও মৌমিতা মার্কেট সহ বিক্রয় সম্পূর্ণ সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য বলিলে শেখ আল মামুন রাজী হয় নাই। ফলে তার প্রতি খুকুর নির্যাতন বেড়ে যায় এক পর্যায়ে খুকুর নামে দলিল করে দেয়ার জন্য স্পেন মামুনকে নির্যাতন করতে থাকে স্পেন মামুনকে ঘরে বন্দী করে রাখে। তার কাছে কাউকে যেতে দেয়া হয়নি, সে যাতে কাউকে নির্যাতনের কিছু না জানাতে পারে সেজন্য তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন জোর করে নিয়ে নেওয়া হয়। তার খাবার বন্ধ করে দেয়া হয় । এভাবে আমার কোটিপতি, শান্ত স্বভাবের, সংগ্রামী, সামাজিক, ধার্মিক ও সমাজসেবী ভাইকে কপর্দকহীন ও অসহায় করে ফেলে শাহনাজ আক্তার খুকু।

প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য মতে স্পেন মামুনের হাতে ডাক্তারের কাছে চিকিংসার জন্য যাওয়ারও কোন টাকা পয়সা ছিল না এবং কাজের লোকসহ অন্য কাউকে তার চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাত পায়ে ধরে অনুরোধ করেছেন। দুর্ভাগ্যজনক এই পরিস্থিতি আমাকেও স্পেন মামুনের মৃত্যুর পূর্বে খুকু জানায়নি। মৃত্যুর পরপরই এই আমার অনুজের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণে বিধায় প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিবেশীদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে বুঝতে পারি।

আপনারা জেনে বিস্মিৃত হবেন যে, আমার ভাইয়ের এই কষ্টের মধ্যেও নির্যাতনের মধ্যে মৃত্যুর পুর্বে কিংবা পরেও শাহনাজ আক্তার খুকু আমাকে মামুনের শরীর খারাপ নিয়ে কোন ফোন করে নাই। আমাকে অসুস্থতার কাথা জানাননি।

মৃত্যুর পরেও ফোন করেননি। এটা তার গভীর ষড়যন্ত্র। সে আমার ভাইকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবার জন্যই এই ষড়যন্ত্র করেছে এমনকি আমি ভাইয়ের মৃত্যুর দিন বাড়ীতে যেয়ে আমার ভাইয়ের মৃত্যুর কারণ জিজ্ঞাসা করলেও খুকু সে তা লুকিয়ে গেছে বরং মৃত্য পরবর্তী নানা রকম আচরণ, কারণেও বেরিয়ে এসেছে খুকুর সম্পদের জন্য সীমাহীন লোভ। এই মর্মে ২০১৮ সালে খুকু আমাদের বাড়ী আসবার পূর্বে তার পূর্ব জীবনের যে ইতহাস তার সাথে তার উশৃঙ্খলতা ও নির্মমতার ইতিহাসের সাথে তার পূর্বে বিয়ের ইতিহাস জড়িত রয়েছে- সবখতিয়ে দেখার দাবী।

দেশের মানুষের নিরাপত্তার ভরসা স্থল সাংবাদিক সৈনিকেরা

আমি যখন মামুনকে ফোন করতাম ২০১৯-২০২০ সালের দিকে তখন এই শাহনাজ আক্তার খুকু সেই ফোন আমার ভাইকে ধরতে দিত না, তার অস্বাভাবিক ও উদ্দ্যত আচরণের জন্যে। আমার ভাই খুকুর এইরকম উদ্দ্যত ব্যবহারের জন্য অসহায় অবস্থায় শুধুই তাই নীরবেই কেঁদেছে; এভাবে খুকু, স্পেন মামুনের একঘরে করে রেখেছে এবং নির্যাতন করেছে। আমার অন্য এক ভাইজি মৌমিকে (মামুনের মেয়ে) পর্যন্ত মুত্যুর খবর দিতে দেয়নি খুকু- গভীর ষড়যন্ত্র করে, পিতার (আমার অনুজের) লাশ দেখতে দেয়নি মেয়েকে।

এভাবে নিবিড় ভাবে তদন্ত করলে খুকুর দোষী মনের ও চরম নিষ্ঠুরতার প্রমাণ মিলবে। প্রত্যেকটা মৃত্যুর একটা ইতিহাস বা লক্ষন থাকে, যা মৃত ব্যক্তি রেখে যায়। কিন্তুদূর্ভাগ্যজনক আমার অনুজের মুত্যুর কোন অসুস্থতার ইতিহাস নেই। তবে হ্যাঁ অপরাধী কোন প্রমান তো রেখে গেছে। যা ক্রোস ইন্টারগেশনে খুকুর কাছে বেরিয়ে আসবে।

খুকু ঘনিষ্টজনকে বলেছে খাওয়ানো ঔষধ সে ফেলে দিয়েছে। কেন ফেলে দেয়া হল? আপনজনদের না দেখিয়ে ? এভাবেই মামুনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। আমার ভাইয়ের মুত্যু অনেক রহস্যময় ও প্রশ্নবিদ্ধ রয়েছে ও এলাকার লোক জানে না কেন কিভাবে তার মৃত্যু হল।

বরং জানে মুত্যুর পরে মামুনের টিপসই খুকু নিয়েছে। খুকু শেখ পরিবারকে বাড়ী ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে । অভিযুক্ত স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম ও সঙ্গীয় লোকজনের মদদে একটার পর একটা মিথ্যা মামলা আমার ও আমার লোকদের বিরুদ্ধে রুজু করছে।

সমস্ত মালপত্র লুটপাট করছে শেখ পরিবারের। শেখ পরিবারের মলুহারের বাড়ির অবস্থা এখন পুরুষশূন্য। তাহলে বুঝা যায় এ মৃত্যুর জন্য খুকুর হাত ছিল। তাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই তার সম্পত্তির।

লোভ ও লোভ থেকে স্বামী হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসবে অনিবার্য। সংশিলিষ্ট থানায়/প্রশাসনে আমার ভাইয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ২৭/৭/২০২১ খ্রিঃ তাং স্বাক্ষরিত জিডির আবেদন করেছি। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক অত্যন্ত ধূর্ত ও চালাক খুকু প্রভাব খাটাইয়া জিডির তদন্ত কার্যকারিতা বন্ধ করিয়া দিয়াছে। ১০ লক্ষ টাকা ব্যাংক লোন বিচার প্রার্থির কাঁধে বোঝা রাখিয়া চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামর নেতৃত্বে লুটেরাগণ লুট করিয়াছে। গত জানুয়ারী ০৭ তাং তদন্ত কর্মকর্তার নির্দেশে মালুহার ৬ নং ওয়ার্ডে বগাইর বাড়ীর পশ্চিম পাশে “মামুন পোল্ট্রি ও ফিসারী খামার” তথা ঘটনাস্থলে স্বীক্ষীদের নিয়ে যাই, কতক স্বাক্ষী আমার বাড়ী ৫নং ওয়ার্ডে নেওয়া হবে বলে।

আমি বাড়ীতে আসি ঐদিন আমার কাজ শেষে বাড়ী থেকে বের হতে মাদ্রাসা ব্রীজের গোড়ায় পৌছালে দেয়ালের ভিতর থেকে ঐ শাহনাজ আক্তার খুকু সংগীয় অন্যান্য আসামীদের নিয়ে আমাকে অশ্লীল বিশ্রী ভাষায় বলে যে, “তোর ভাইকে (শেখ গাউছুল হক) মেরে ফেলেছি এবং তোকেও মেরে ফেলব” এবং সে ২৭/৮/২০২১ সকাল ১১:০০ টায়ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দিচ্ছে। বাদী হিসেবে আমার মামলায় সাক্ষিরা প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খুলতে পারছেনা ।

খুকুদের দেয়া অবিরাম মিথ্যা মামলার আতংকে আমি ও আমার লোকজনেরা সর্বস্ব হারিয়ে মুত্যু পথযাত্রী। সেপ্টেম্বর ২১ থেকে আমি ভয়ে খুকুর সাথে দেখা করিনা । শাহনাজ আক্তার খুকুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পরে সে ভীষণ হিংস্র হয়ে গেছে এবং ভদ্রতা, নম্্রতা, শালীনতা, ও আইনকানুন তোয়াক্কা না করে শেখ পরিবার ও মামলার স্বাক্ষীদের উপর মারমুখী হয়ে পরেছে। স্বাক্ষীদেরকেও অবিরাম ভাবে বকা ঝকা ও গালমন্দ দিয়ে মামলা-মোকদ্দমাকে হতাশায় পরিনত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ১০/০২/২২ তারিখ উক্ত খুকু উক্ত চেয়ারম্যান এর মদদে ও অসাধু পুলিশের প্রশ্রয়ে আমার ও আমার লোকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে এবং অবিরাম করে যাচ্ছে। আমি সকল অপরাধীদের বিচার চাই।

বিনীত-সংবাদ সম্মেলন আয়োজক

বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড্ শেখ আঃ হক

(আব্দুল হক ঘরামী)

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news