সড়কের মাঝখানে বসতে নিষেধ করাতেই মারধর

লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি

লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি

১১ মে, ২০২২, ১ year আগে

সড়কের মাঝখানে বসতে নিষেধ করাতেই মারধর

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সড়কের মাঝ খানে বসে থাকা যুবককে সরতে বলায় হায়দার আলী (২৬) নামের এক অটো যাত্রীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ওই যাত্রী বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিতিৎসাধীন আছেন।

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১০ মে) সকালে হায়দার আলী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এর আগে গত সোমবার (৯ মে) বিকেলে উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের ধুবনী এলাকার হাটখোলা-বড়খাতা বাইপাস সড়কে এ ঘটনাটি ঘটে।

অটো যাত্রীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার ধুবনী এলাকার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে জুলফিকার বাদশা রতন(২৫), রিপন(২৮), হাফিজারের ছেলে কাওছার(২৫), হৃদয়(২০)সহ আরও অনেকে। আহত ওই অটো যাত্রী উপজেলার পূর্ব সিন্দুর্না এলাকার জয়নালের ছেলে।

জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে অটো বাইক যোগে আত্বীয় বাড়িতে যাচ্ছিলেন হায়দার আলী। পথিমধ্যে উপজেলার ধুবনী এলাকার হাটখোলা-বড়খাতা বাইপাস সড়কের মাঝ খানে বসে ছিলেন জুলফিকার বাদশা রতন। এ সময় অটো যাত্রী হায়দার তাকে সড়ক থেকে সরে বসতে বলেন। এতে করে রতন উত্তেজিত হয়ে হায়দারের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়ান। এর এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে রতন ও তার বড় ভাই রিপন হায়দারকে মারধর শুরু করে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন আহত হায়দার আলী। এ সময় তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রতন সড়কের মাঝে বসে ছিলেন। আমি অটো যোগে যাচ্ছিলাম। তাই সড়কে জায়গা না থাকায় তাকে সরে বসতে বলি। এতে করে রতন ও তার ভাই রিপন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করেন। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এর সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জুলফিকার বাদশার বড় ভাই রিপন বলেন, আমরা তাকে মারধর করিনি। উল্টো ওই হায়দার আলী আমার ভাইকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। আর রাস্তায় একজন পাগলও বসে থাকে না।

এ বিষয়ে হায়দার আলীকে বহনকারী অটো বাইক চালক সোহেল বলেন, আমি হায়দার আলীকে নিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় সড়কের মাঝে বসে ছিলেন রতন। তাই আমি অটোটি ব্রেক করি। আর হায়দার আলী রতনকে সড়ে বসতে বলেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় দুজনের মাঝে। এর এক পর্যায়ে রতন ও তার বড় ভাই রিপনসহ কয়েকজন ক্ষিপ্ত হায়দার আলীকে মারধর শুরু করেন।

এ সময় পাশেই থাকা অপর এক অটো বাইক চালক তহিদুল আলম বলেন, আমি আমার অটো বাইকটি সড়কের পাশে দাড় করিয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় হায়দার আলী অটো বাইকে আসেন আর সড়কে বসে থাকা জুলফিকার বাদশাকে সড়ে বসতে বলেন। এ নিয়ে ঝগড়া লাগে আর রতনসহ আরও কয়েকজন হায়দার আলীকে মারধর করেন।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাঈম হাসান নয়ন বলেন, আহত ওই ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ওনাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, দুই পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পত্রিকা একাত্তর /লুৎফর রহমান

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news