মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায়ঃ ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসি

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

৩১ জানুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায়ঃ ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসি
মেজর সিনহা হত্যা মামলা

দেশের বহুল আলোচিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাসেদ খান হত্যা মামলার দীর্ঘ শুনানি, সাক্ষীদের জবানবন্দি, জেরা ও আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত টেকনাফ থাকার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ(৪৮)ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী (৩১) কে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে।

৩১ জানুয়ারি ( সোমবার) বিকাল ৪ টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ দেন।

ইতিপূর্বে এ মামলায় অভিযুক্ত ১৫ আসামীদেরকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দুপুর ২টা ২৫ মিনিট থেকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল মামলার রায় পড়া শুরু করেন।

এ মামলায় অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হল বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিত (যাবজ্জীবন) সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. লিটন মিয়া ( খালাসপ্রাপ্ত), কনস্টেবল ছাফানুর করিম (খালাসপ্রাপ্ত) মো. কামাল হোসাইন আজাদ (খালাসপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন(খালাসপ্রাপ্ত)ওসি প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা (যাবজ্জীবন) কনস্টেবল সাগর দেব(যাবজ্জীবন) এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান আলী (খালাসপ্রাপ্ত) কনস্টেবল মো. রাজীব হোসেন (খালাসপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (খালাসপ্রাপ্ত) স্থানীয় বাসিন্দা বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন (যাবজ্জীবন), মো. নিজাম উদ্দিন (যাবজ্জীবন)ও মোহাম্মদ আইয়াজ (যাবজ্জীবন)।

কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-অপারেশন) সেলিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সিনহা হত্যা মামলার রায় উপলক্ষে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে আদালতের চারপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

উল্লেখ্য যে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে অবস্হিত বাহারছড়া পুলিশ চেক পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের গুলিতে নৃশংসভাবে খুন হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হলে নড়েচড়ে বসে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে নানা অপচেষ্টা চালানো হলেও তদন্তে বেরিয়ে আসে জড়িতদের নাম এবং তাদের নৃশংসতার কাহিনি।

মামলাটি তদন্ত করেছেন কক্সবাজার র‍্যাব-১৫-এর দুই কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিলুল হক ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের ‌সি‌নিয়র জু‌ডি‌শিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলায় মোট ৮৩ জনকে সাক্ষী করা হয়। তাদের মধ্যে ৬৫ জন ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আদালতে সাক্ষ্য দেন।

পত্রিকা একাত্তর/ এফ.করিম

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news