পূজা হেগড়ে একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, যিনি মূলত তেলুগু এবং হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে থাকেন। তিনি একজন প্রাক্তন সুন্দরী প্রতিযোগী, তিনি মাইসকিনের তামিল সুপারহিরো চলচ্চিত্র মুগামুদী (২০১২)-তে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশের আগে মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০১০ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছিলেন।
আজ এই অভিনেত্রী ৩৩তম জন্মদিন। ১৩ অক্টোবর ১৯৯০ সালে পূজা হেগড়ে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং সেখানেই বেড়ে উঠেছিলেন। তার পিতা-মাতা মঞ্জুনাথ হেগড়ে এবং লতা হেগড়ে কর্ণাটকের মাঙ্গলুরুর বাসিন্দা ছিলেন। তার মাতৃভাষা তুলু, এছাড়া তিনি ইংরেজি, মারাঠি এবং হিন্দিতেও সাবলীল।তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে, তিনি এম.এম.কে. কলেজে পড়াশুনা করতেন। তিনি নিয়মিত আন্তঃকলেজীয় প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে এবং নৃত্য ও ফ্যাশন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চেষ্টা করতেন।
হেগড়ে মিস ইন্ডিয়া ২০০৯ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন, তবে মিস ইন্ডিয়া ট্যালেন্টেড ২০০৯ সম্মান জেতা সত্ত্বেও প্রথম দিকেই তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। পরের বছর তিনি পুনরায় আবেদন করেছিলেন এবং মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০১০ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছিলেন, এছাড়াও তিনি পার্শ্ব প্রতিযোগিতা মিস ইন্ডিয়া সাউথ গ্ল্যামারাস হেয়ার ২০১০-এর মুকুট জিতেছিলেন। তিনি মাইসকিনের তামিল সুপারহিরো চলচ্চিত্র মুগামুদী (২০১২)-তে জীবের বিপরীতে নারী মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করে চলচ্চিত্রে অভিষেক করেছিলেন।
চলচ্চিত্রটি সে’বছরের আগস্টে বক্স অফিসে দুর্দান্ত এক উদ্বোধন করেছিল। তবে চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের কাছ থেকে মিশ্র ও নেতিবাচক সমালোচনা লাভ করেছিল এবং দূর্ভাগ্যবশত এটি বাণিজ্যিক ব্যর্থতায় পরিণত হয়েছিল। হেগড়ের অভিনয়ও মিশ্র পর্যালোচনা লাভ করেছিল; সিফি ডট কম-এর একজন সমালোচক উল্লেখ করেছিলেন, তিনি “আশা পূর্ণ করতে পারেননি”, যদিও দ্য হিন্দু-এর একজন সমালোচক উল্লেখ করেছিলেন, “প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য তার তেমন সুযোগ নেই।” তিনি ২য় দক্ষিণ ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ তামিল নবাগতা অভিনেত্রী বিভাগে মনোনয়ন অর্জন করেছিলেন, কিন্তু লক্ষ্মী মেননের কাছে পরাজিত হন।
তার অভিনীত দ্বিতীয় চলচ্চিত্রটি ছিল তেলুগু ভাষার ওকা লাইলা কোসাম (২০১৪), যেখানে তিনি নাগা চৈতন্যের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয়ের জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছিলেন। একই সময়ে তিনি ৬২তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (দক্ষিণ)-এ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে মনোনীত হয়েছিলেন। একটি প্রযোজনা সংস্থা এবং পরিচালক বিজয় কোন্ডার পূর্ববর্তী উদ্যোগের সাফল্য তাকে এই প্রকল্পে কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল।
তিনি মুখ্য নারী চরিত্রে অভিনয়ে সহায়তার জন্য তেলুগু ভাষা রপ্ত করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি মুকুন্দা চলচ্চিত্রে অভিনেতা চিরঞ্জীবীর ভাগ্নে বরুণ তেজ’র সাথে অভিনয় করেছিলেন। একটি গ্রামের পটভূমিতে নির্মিত প্রণয়-মারপিটধর্মী কাহিনীর চলচ্চিত্রটি ২০১৪ সালের শেষদিকে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটিতে হেগড়ে গোপিকাম্মা গানে তার অবিস্মরণীয় অভিনয়ের মাধ্যমে সকলকে মুগ্ধ করেছিল। হৃতিক রোশনের সাথে আশুতোষ গোয়ারিকরের মহেঞ্জো দাড়ো (২০১৬) চলচ্চিত্রে মুখ্য অভিনেত্রী হিসাবে অভিনয় করতে স্বাক্ষর করার সময়ে তিনি তেলুগু চলচ্চিত্র ওকা লাইলা কোসাম এবং মুকুন্দা (২০১৪) তে অভিনয় করেছিলেন।
পত্রিকা একাত্তর / মাসুদ পারভেজ