সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ও কৈখালী ইউনিয়নের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওয়াপদা বেঁড়িবাধের তলা ছিদ্র করে লোনা পানি উত্তোলন করায় অবৈধ পাইপ অপসারণ করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারী) বেলা সাড়ে ১০টায় উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কালিন্দী নদীর পাড়ে কুলতলি, ও দুরমুজখালী এবং কৈখালী ভেড়ার মোড় বেড়িবাঁধ এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
আদালত চলাকালে উপস্থিত ছিলেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শহিদুল্লাহ ও থানা পুলিশের সদস্যবৃন্দ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুল হক মল্লিক, তন্ময় হালদার, ৫ নং কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম প্রমুখ।
এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধে যত্রতত্রে ছিদ্র করে অবৈধ পাইপ বসিয়ে লোনা পানি উত্তোলণ করায় বেড়িবাঁধ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এর ফলে বেড়িবাঁধ নষ্ট হয়ে ইতিপূর্বে একাধিক জায়গা প্লাবিত হয়ে মৎস্যঘের ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়। অভিযান চলাকালে বেশ কয়েকটি অবৈধ পাইপ অপসারণ করা হয়েছে।
এমনিভাবে ধারাবাহিক ভাবে অবৈধপন্থায় স্থাপন করা লোনাপানি তোলা পাইপ অপসারণে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি স্থানীয়দের অভিযোগ ও বেঁরিবাঁধের বেহালদশা সম্পর্কে ও পাইপ অপসারণের অভিনব কার্যক্রম দেখে দৈনিক সাতঘরিয়া পত্রিকার উপকূলীয় প্রতিনিধি ও পত্রিকা ৭১ এর জেলা প্রতিনিধি কালিগঞ্জ পাউবোর কর্মকর্তা এসও তন্ময় হালদারের কাছে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জনতাদের সামনে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন এবং বলে আমি তোর প্রশ্নের কোনো জবাব দিবো না তথ্য সংগ্রহ করতে হলে এসিল্যান্ড ও জেলা পাউবোর অফিসে যা।
স্থানীয়দের থেকে জানা যায় এস ও তন্ময় হালদার প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তিবর্গদের থেকে বড় ধরনের কোনো কিছুর বিনিময়ে লেনদেন করে এই এলাকায় বেঁরিবাঁধের অনেক দূর্নীতি অনিয়মের সাথে জড়িত।
পত্রিকা একাত্তর/ মো: আলফাত হাসান