জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভোলার বোরহানউদ্দিনে আমেনাকে (৫৫) বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের উদয়পুর রাস্তার মাথার ৩ নং ওয়ার্ড ব্যাপারী বাড়ীতে শনিবার সকাল আনুমানিক ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত বিবি আমেনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, একই বাড়ীর - নুরনবী (৬০) পিতা- ইসমাইল, জাহাঈীর (৬০) পিতা- ওলিউর রহমান, নুরইসলাম (৭০) পিতা- হানিফ, মহিউদ্দিন (৫৫) পিতা- নুরুল ইসলাম, হাসিনা (৫০) স্বামী- রহিজল, আমেনা আক্তার(৩৫) স্বামী -নূরউদ্দিন, শাহিনুর (৫০) স্বামী - নুরনবী, রুপা(৩০) স্বামী -নয়ন, সুফিয়া(৫০) স্বামী নসু মাস্টার, রুমা(৩৫) স্বামী মোসলোউদ্দিন।
এঘটনায় বাদী হয়ে আমেনা বেগম বোরহানউদ্দিন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের পর থানা থেকে প্রশাসন এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এবং উভয় পক্ষকে বিকালে থানায় আসার জন্য বলেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিবি আমেনা গণ্যমান্য কর্মীদের জানান- আমাদের জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ নুরনবী গংদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
২২ জানুয়ারী শনিবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর তুলতে চাইলে আমি বাঁধা দিলে আমাকে নুরনবী গংরা লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। আমাকে রক্ষা করতে আমার স্বামীএগিয়ে এলে তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসাপাতালে এনে ভর্ভি করে।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান- দীর্ঘ দিন ধরে উভয়ের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। তবে বিবি আমেনাকে একা পেয়ে এইভাবে মারধর করার বিষয়টি অতন্ত দুঃখজনক। এদিকে নুরনবী, নুরুল ইসলাম ফোন করলে মোবাইল ফোনে মারধরের বিষয়ে কোনো মতামত দিতে রাজি হননি।বোরহানউদ্দিন থানার ওসি (ইনচার্জ) শাহিন ফকির বলেন, এ ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় বিকালে আসতে বলেছি এবং ফয়সাল না হওয়া পর্যন্ত ঘর উঠানো বন্ধ থাকবে বলেন।
পত্রিকা একাত্তর/ এম এ বাসার