জেলার শ্যামনগর উপজেলার ৫ নং কৈখালী ইউনিয়নের ১ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মধ্যেবর্তী চলাচলের রাস্তা কেটে চাষের জমির সাথে বিলীন করে দিচ্ছে স্থানীয় বসবাসকারী কয়েকজন মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে ডাঃ রহুল আমীনের বাড়ি হতে নৌকাটি মাদ্রাসার সুপার মাওলানা নওশেরুজ্জামানের বাড়ি পর্যন্ত,
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ১ ও ৩ মধ্যেবর্তী রাস্তাটিতে ভূক্তভোগী,আলতাফ হোসেন, বাবলু গাজীসহ স্থানীয় বসবাসকারীরা জানান, দীর্ঘ ৮-৯ বছর যাবৎ তারা এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করছেন। সরকারের অর্থে একাধিকবার রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ নোনাপানি মুক্তি হওয়ায় মানুষ ধান চাষে আগ্রহী হওয়ায় হঠাৎ করে কয়েক জন চাষী ৮০- ১০০ ফুট রাস্তা কেটে চিকন করে দেন,রাস্তাটি পূর্বে চওড়া ছিল ৬ ফুট বর্তমান কেটে বিলীন করার ফলে এখন রাস্তাটি চওড়া আছে মাত্র ৩ ফুটের মতো,এছাড়াও ৮-৯ বছরের পুরোনো রাস্তাটি পুনরায় কোনো রকম সংস্কার না হওয়ায় লোক চলাচলের মাটির রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে নানা রকম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে ওই রাস্তার পাশে থাকা কয়েকটি পরিবার।
অভিযুক্ত রাস্তা কেটে নেওয়া পক্ষের কয়েকজন বলেন, এটা কোন সরকারী রাস্তা নয় তাদের রেকর্ডিয় জমি তারা চাষের জমির সাথে মিলিয়ে নিয়েছেন ।
এ বিষয়ে কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম সাতঘরিয়া পত্রিকার উপকূলীয় প্রতিনিধিকে জানান, ১-৩ নং ওয়ার্ডের মধ্যেবর্তী বড় মৌকটলাখাল পাড়ার ওই রাস্তার মাটি কাটা সম্পর্কে তিনি জানেন না এবং এর আগে ও এ বিষয়ে কোনোরকম অভিযোগ দেয়নি কেউ,তবে আমি এই রাস্তার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবো,যেহেতু রাস্তাটিতে এর আগে সরকারি বরাদ্দে নির্মিত হয়েছিল,
স্থানীয় বসবাসকারীরা জানান এই রাস্তাটি প্রায় ৪-৫ হাজার মানুষ সুবিধাভোগ করে,তবে দুঃখজনক হলে ও সত্যি পাশে সরকারি খাস খাল থাকার পরে ও রাস্তাটির যখন ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে সরকারি কাজ হয়,রাস্তা বিলীনকারী পক্ষের স্বার্থে,রাস্তাটি তারা নিজেরাই সমঝোতা করে তাদের নিজেদের সরকারি দখলকৃত খাস- খাল রেখে মালিকানাধীন জায়গায় রাস্তাটি করে,এবং ঘের বন্ধ হওয়ায় স্বার্থ হাসিলের জন্য রাস্তাটি বিলুপ্তির পথে নিয়ে যান,মহল্লাবাসী জানান ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধি ও শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন গ্রামবাসী যাহাতে রাস্তাটির সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ হয়।