বাগেরহাটের শরণখোলায় মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন পুশ করায় গুরুতর অসুস্থ্য রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।১৮আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসকের ফার্মেসী সীলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামে।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন টাইফয়েড আক্রান্ত রোগী রুমানা বেগমের ভাই আলফু বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান তার বোন রুমানা টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শেখ তাওহিদুল ইসলামের চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ১৫ আগষ্ট চালিতাবুনিয়া বাজারে সুন্দরবন ফার্মেসীতে স্কয়ার কোম্পানীর “সেফট্রন ১মিঃগ্রাম” ইনজেকশন কিনে পুশ করতে গেলে ফার্মেসী মালিক ও পল্লী চিকিৎসক নিয়াজ মৃুন্সি সেফট্রনের পরিবর্তে এসকে-এফ কোম্পানীর তৈরী মেয়াদোত্তীর্ণ “ট্রাইজেক্ট ১মিঃগ্রাম ইনজেকশন রুমানা খাতুনকে পুশ করে।
এতে রুমানা খাতুন গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় তাকে ১৬ আগষ্ট সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এসময়ে রোগীর স্বজনেরা উক্ত ফার্মেসী থেকে আরো পাঁচটি মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রাইজেক্ট ইনজেকশন উদ্ধার করে। উক্ত ইনজেকশনের গায়ে উৎপাদনের তারিখ মে ২০১৯ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ জানুয়ারী ২০২২ লেখা রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শেখ তাওহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,রোগীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন পুশের ঘটনা জানতে পেরে বৃহস্পতিবার সকালে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নুরই আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট চালিতাবুনিয়ায় অবস্হিত ওই ফার্মেসীতে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় সুন্দরবন ফার্মেসীর মালিক নিয়াজ মুন্সি ফার্মেসী বন্ধ করে পালিয়ে যায়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ফার্মেসীটি সিলগালা করে দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও শরনখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নূর-ই আলম সিদ্দীকী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই আলম সিদ্দীকী।
পত্রিকাএকাত্তর /আবু তালেব