দক্ষিন আইচায় কৃষকের ঘড় ভাঙ্গার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

১৮ আগস্ট, ২০২২, ১ year আগে

দক্ষিন আইচায় কৃষকের ঘড় ভাঙ্গার অভিযোগ

ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় গভীর রাতে কৃষকের ঘর ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে স্কুল শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই মিজানুর রহমান এর বিরুদ্ধে।জানা যায়, স্কুল শিক্ষক ফরিদ ও মিজান দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল সত্তার মৌলভীর দুই ছেলে।

অভিযোগে মো. জসিম প্যাদা (২৮) জানান, দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মোতালেব হাওলাদার এর কাছে আমার পিতা আব্দুর রব প্যাদা ০৫/০৬/১৯৮২ সনে ৯১.২৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে বিভিন্ন দলিলের মাধ্যমে। যার ডিয়ারা দাগ নং ১৪১১, ১৩৯৩, নাল জমির পরিমাণ ৭৬ শতাংশ, ডিয়ারা দাগ নং ১২০৬,১২০৭,১২০৮ জমির পরিমাণ ১৫.২৫ শতাংশ।

জমি দাতা বুঝাইয়া দিলে বাড়ি ঘরের প্রয়োজনে ১২০৬ দাগে ঘর উত্তোলন করি। বর্তমান ডিজিটাল (বি ডি এস) জরিপ ডিপি খতিয়ান নং ১৩৭৫, হাল দাগ ৫২৩৫ জমির পরিমাণ ১৪.৮১ শতাংশ। যা বর্তমানে ওই জমি আমরা ভোগদখল ও বসবাস করে আসছি।

জসিম প্যাদা আরও জানান, এর আগে গত কয়েক মাস পূর্বে সত্তর মৌলভীর ছেলে দক্ষিন জাহানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম আমাদের ভোগদখলীও জমিতে এসে মো. সবুজ নামে এক যুবকের উপস্থিতিতে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।

আমি ৫ লাখ টাকা দিতে অপরগত শিকার জানালে গত বুধবার (১৭ আগষ্ট) গভীর রাতে আমার পিতা আব্দুর রব প্যাদা আমার বড় ভাই রহিম প্যাদার বাড়িতে অসুস্থ হলে আমরা পিতাকে দেখতে গেলে আমাদের অনুপস্থিতিতে আমাদের ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র এবং ঘরে নগত গচ্ছিত থাকা ২০ হাজার টাকা সহ নির্মাণকৃত আমাদের ঘরটি ভেঙে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে চরমানিকা ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে ঘরের চাল, বেড়া, ও ঘরটি ফেলে দেন সাত্তর মৌলভীর ছেলে স্কুল শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই পল্লী চিকিৎসক মিজানুর রহমান সহ দূর্বৃত্তরা।

এতে আমাদের প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসন সহ সকল মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী অসহায় কৃষক পরিবার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশি জানান ফরিদ ও মিজান এরা এতটাই জঘন্য যে আপন চাচার বাসায় বিদ্যূৎ সংযোগে বাধা প্রদান করে, ছোট চাচার জমি দখল করে নিঃস্ব করে দিয়েছে,তাদেরকে ভূমিদস্যু বললে ভুল হবে না।

কিছুদিন আগে এদের নামে বিভিন্য পত্রিকায় ঢালাও ভাবে সংবাদ প্রচার হয়েছে, এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম বলেন, ৫ লাখ টাকা তো দূরের কথা এ ঘটনার বিষয়ে আমি কিছু জানি না, কে-বা কাহারা ওই ঘরটি ভেঙে আমাদের নামে মিথ্যা রটাচ্ছে।দক্ষিণ আইচা থানার(ওসি) মো.শাখাওয়াত হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পত্রিকাএকাত্তর /সোহাগ হাওলাদার

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news