৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এবার সংবাদে পরিনত হয়েছেন সাংবাদিকেরা। সংবাদ সংগ্রহ কালে ভুক্তভোগী ও প্রত্যাক্ষদর্শীদের বক্তব্য নেওয়ার সময় নির্মম হামলার শিকার ভুক্তভোগী গর্ভবতী নারী সহ সংবাদকর্মীরা।
এলাকাবাসী সকলের সামনেই ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বিবস্ত্র করে করা হয়েছে মারধর। ইচ্ছাকৃতভাবে পা দিয়ে আঘাত করা হয়েছে তার পেটে, এতে আশংকা রয়েছে সন্তান নষ্ট হওয়ার। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়।
নগরীর বন্দর থানার পাশ্ববর্তী, ৩নং ডিপো গেইটের বিপরীতে, হাজী বিরানী গল্লি, হামিদ আলী সওদাগরের বাড়ির নুরুল আমিন লেদুর ছকিনা মন্জিলের পার্কিংয়ে ৮ আগষ্ট (সোমবার) বিকেলে এই নেক্কার জনক ঘটনাটি ঘটে। এমন কর্মকান্ডে যেন পুরো প্রশাসনই এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
ভুক্তভোগী শাহেদ আমিনের আপন ভাই সোহেল আহমেদ সেলিম ও রাশেদ আমিন সহ তার ভাবীরা ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া ভাতিজি নিকির হাতে নির্মম হামলার শিকার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে থানায় বারবার গিয়েও অদৃশ্য কারনে মামলা করতে পারেনি ভুক্তভোগী।
এদিকে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা একের পর এক হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সন্তান সহ স্বামী ও স্ত্রী। নিজেদের নিরাপত্তা চেয়েও এখনো পর্যন্ত কোন সহায়তা না পাওয়ার দাবী ভিকটিম শাহেদ আমিনের। এই বিষয়ে বন্দর ৩৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু মোর্শেদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি, তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় তিনি ব্যাক্তিগত কাজে দেশের বাহিরে রয়েছেন।
প্রশাসনের এমন নিরবতায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে জনমনে। তাদের মতে যেকোন একটি অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য হয়ত অপেক্ষা করছে প্রশাসন। সিসিটিভি ফুটেজে প্রকৃত দোষীদের সনাক্ত করার পরও থানা পুলিশ কর্তৃক সময় মত যতাযত পদক্ষেপ না নেয়ার ফলে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী। এই বিষয়ে জানার জন্য বন্দর থানায় বার বার কল করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
পত্রিকাএকাত্তর /ইসমাইল ইমন