খানসামায় মিলছে লাশের পর লাশ

জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর

৩০ জুলাই, ২০২২, ১ year আগে

খানসামায় মিলছে লাশের পর লাশ

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ২নং ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া কুমারপাড়ায় বাবার বাড়ি থেকে মা ও মেয়ে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার পথে ধান ক্ষেতে বিবস্ত্র নারীর লাশ উদ্ধার করে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া কুমারপাড়ার বাবা মথুরার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার পথে ধান ক্ষেতে মিশন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী অপো রাণী রায় (২৮) এর বিবস্ত্র অবস্থায় লাশ পথচারীরা দেখতে পায়।

পাশেই নিহতের সাথে ১০ বছরের মেয়ে বিপাশা রাণী রায়কে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়৷ পরে পথচারীরা লোক ডাকাডাকি করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।

আর অজ্ঞান শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরিবারের দাবি, নিহতকে গণধর্ষণের পর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অপো রাণী রায়কে হত্যা করা হয়েছে। অপরদিকে একই দিনে রাত প্রায় ১১ টার দিকে ভাবকী ইউনিয়নের রেয়াজ ডাক্তার পাড়ায় জমি চাষ করতে গিয়ে চাষকৃত জমি থেকে ট্রাক্টর (হ্যারো) চালক ইউনুস আলীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।

পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে সুরতহালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ইউনুস আলীর লাশও এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে পাঠান।

লাশ উদ্ধারের বিষয়গুলো নিশ্চিত করে খানসামা থানার ওসি (তদন্ত) তাওহীদ ইসলাম বলেন, লাশ দুটি উদ্ধারের পর সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই সঠিক তথ্য জানা যাবে। যদিও ইতিমধ্যে আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি।

টংগুয়ার ঘটনায় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ধীমান দাস বলেন, এটি একটি গ্যাং রেপ হয়েছে। এটা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করি দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আশার দাবী জানাচ্ছি। এটি রাষ্ট্রীয় অবক্ষয়, রাষ্ট্রীয় নীরবতার এ কারণেই এই দুর্ঘটনাগুলো বারবারই ঘটছে এবং সবসময়ই অপরাধীরা নানান ফাকফোকরে পার পেয়ে যাচ্ছে।

সে কারণেই অপরাধীরা বারবার অপরাধ সংগঠিত করার সাহস দেখাচ্ছে এবং সব সময় সব ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়। এই জায়গাটাই সমস্যা এটার একটা প্রতিকার হওয়া উচিত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত বলে আমি মনে করি।

পত্রিকাএকাত্তর /আজিজার রহমান

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news