পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ

উপজেলা প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ

২৮ জুলাই, ২০২২, ১ year আগে

পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার তিন বারের নির্বাচিত সফল কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমুলক ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে পৌর পরিষদ ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন।

বৃহস্পতিবার পৌর ভবন সংলগ্ন সড়কে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন চলাকালিন সময়ে বক্তব্য রাখেন, পৌর কাউন্সিলর মশিউর রহমান বিপ্লব, মাহবুবুর রহমান, শাহিন প্রামানিক, মাজেদুর রহমান রুনু, লাবলু মিয়া, রতনা রানী, কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোকলেছুর রহমান, সচিব ও সহকারি প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম।

বক্তাগণ বলেন, মামলার বাদী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এজাহারের ধর্ষণের যে দিনক্ষনের বর্ণনা দিয়েছেন ওইদিন কাউন্সিলর হাবিব উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ মেয়র এবং অন্যান্য কাউন্সিলরের সাথে ঈদুল আযহার ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করেছেন।

যা সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা রয়েছে। বিধায় মামলাটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক। তাই বক্তাগণ অবিলম্বে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তাকে মামলার চূড়ান্ত রির্পোটের মাধ্যমে কাউন্সিলরকে মামলা হতে অব্যাহতি প্রদানের জোর দাবি জানিয়েছেন বক্তাগন। গত ২৫ জুলাই কাউন্সিলর হাবিবসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করে নেত্রকোনার এক নারী।

জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কলেজ পাড়ার কামরুল ইসলাম সাজুর সাথে ঢাকায় নেত্রকোনার আটপাড়া থানার শ্রীরামপুর গ্রামের এক নারীর পরিচয়ের সূত্রধরে বিয়ে হয়। এরপর থেকে তারা ঢাকায় অবস্থান করে।

গত ঈদুল আযহার এক সপ্তাহ আগে ওই নারী স্বামীকে খোঁজার উদ্দেশ্যে সুন্দরগঞ্জে আসে। স্থানীয় কিছু সংখ্যক অপরিচিত ব্যক্তি ওই নারীকে তার স্বামীর বাসার ঠিকানা খুঁজে বের করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাতে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। পরদিন দিবাগত রাতে স্থানীয় কিছু সংখ্যক ব্যক্তি তাকে কাউন্সিলর হাবিরের নিকট নিয়ে আসে। হাবিব ওই নারীর বক্তব্য শুনে তাকে থানা পুলিশের নিকট পাঠিয়ে দেয়।

পরে নারী ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে ছালমা ওই নারী স্বামী সাজুকে ডেকে নিয়ে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত এম এ আজিজ, তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, দহবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল আলম রেজা ওই নারীর অভিযোগ সমুহ মিমাংসা করে স্বামীসহ ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়।

রহস্যজনক কারণে ওই নারী গত ২০ জুলাই গাইবান্ধায় এসে পুলিশ সুপারের নিকট কাউন্সিলর হাবিবুর রহমানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে এজাহার দেয়। পুলিশ সুপার সুন্দরগঞ্জ থানার ওসিকে বিষয়টি তদন্ত করে মামলা করার পরামর্শ প্রদান করে। বেশ কয়েকদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার পর অবশেষে গত ২৫ জুলাই কাউন্সিলর হাবিবসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করে।

পত্রিকাএকাত্তর /হযরত বেল্লাল

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news