ছোট ভাইদের জমি বড় ভাইয়ের দখলে

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি

২১ জুলাই, ২০২২, ১ year আগে

ছোট ভাইদের জমি বড় ভাইয়ের দখলে

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শালমারা গ্রামের মৃতঃ এজার উদ্দিনের ৫ ছেলের বসতবাড়ির জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছছে। ছোট ভাইয়ের অংশ বুঝে না দিয়ে বড় ভাই ভোগ দখলে রেখে উল্টো ছোট ভাইদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

এ ঘটনায় বড় ভাই ছোট ভাইদের পাল্টা পাল্টি মামলা হয়েছে। দ্বন্দ্ব চলা পাঁচ ভাই হলো উপজেলার ১০নং হরিণচড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শালমারা গ্রামের চৌধুরী পাড়া এলাকার মৃতঃ এজার উদ্দিনের ছেলে, একরামুল হক(৬৫), হুসাইন আহম্মেদ(৬০), এনামুল হক (৪৫), শামসুল(৫০), রবিউল ইসলাম(৪২) বাসিন্দা।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়- হংসরাজ মৌজার ১২০০ দাগে তাদের বসতবাড়ির মোট ১৭ শতক জমি রয়েছে। এই জমি নিয়ে পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। প্রাপ্তসূত্রমতে-রবিউল ইসলাম, হুসাইন আহম্মেদ, শামসুল হক তাদের পৈত্রিক সূত্রেপ্রাপ্ত জমিতে, ১২০০ দাগের ১৭ শতক জমি দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখল করে আসছিল, হঠাৎ করে বড় ভাই একরামুল হক কোটে মিথ্যা মামলা করে ১৭ শতক জমি একাই দখলে নেয়।

আমরা পাঁচ ভাই ওই জমির মালিক। বড় ভাই ভুয়া কাগজ দেখিয়ে আদালতের একতরফা রায় নিয়ে ১৭ শতক জমি তার দখলে রেখেছে। এ ব্যাপারে ছোট ভাই রবিউল ইসলাম ও হোসেন মোহাম্মদ জানান- আমার পিতা মৃতঃ এজার উদ্দিন জীবদ্দশায় তার ভোগ দখলীয় জমি আমাদের ৫ ভাইয়ের নামে সমানভাবে রেজিস্ট্রি করে দেয়।

আমার পিতা মারা গেলে জমির সকল কাগজপত্র বের করে দেখি জমি আমাদের নামে রেকর্ড হয়ে গেছে। তখন আমার বড় ভাই একরামুল হক এটা মেনে নিতে পারেনি। আমার বড় ভাই জোরপূর্বক সেই জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে এবং মিথ্যা মামলায় সেই জমি দখলে নেয়।

আমাদের জমিতে আমরা প্রবেশ করিতে পারিবোনা কোট একতরফা তার পক্ষে রায় দেয়, এই মামলার বিরুদ্ধে বর্তমান আমরা আপিল করেছি, আমরা আমাদের সঠিক বিচার চাই। ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। আমরা জমিতে গেলে, আমাদেরকে মারতে ধরতে চলে আসে। কিছুদিন আগে একরামুল ওই জমিতে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছিলো।

এভাবে আমাদের জমি একরামুল হক দখল করে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে। এ ব্যাপারে আমি বাদী হয়ে (রবিউল ইসলাম) ডোমার থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর ডোমার থানার এসআই নুরুল হুাদা ঘটনাস্থলে যেয়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন এবং আমরা জমির ওরজিনাল ওয়ারিশ বলে উনি কোটে প্রতিবেদন দিয়েছেন।

মামলা পরিবেশ পরিস্থিতি দেখেছেন। এ ব্যাপারে এসআই নুরুল হুদা মিয়া বলেন- আমি তদন্তে মামলার সত্যতা পেয়েছি।

পত্রিকাএকাত্তর /সাহিদুল ইসলাম

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news