বরগুনা আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খেকুয়ানী গ্রামে ১৫-৭-২০২২ইং তারিখ রোজ শুক্রবার সকাল ৯.৩০মিনিটের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে বলে আহত পরিবার সূএে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী শাহনাজ বেগম জানান, আমরা ১৬বছর আগে সরকারী কার্ডে ১৪ শতাংশ জমি পেয়েছি। সেখানে আমরা অনেক বছর যাবত বসবাস করে আসছি। ইতিমধ্যে আমাদের জমিজমা মাপঝোপ করে আমতলীর এসিল্যান্ড স্যারে সীমানা দিয়েবুঝিয়ে দিয়ে যায়।
ঘটনার দিন সকালে আমার ভাশুর মামুন গাজী তার জমিতে ঘর তুলতে গেলে হামলা কারী সালাম গাজী, সায়েম গাজী, খোকন, ইমরান, নাইম, সওার গাজীসহ প্রায় ১৬জন দেশীয় অস্ত্র দা, রড, লাঠিসোটা নিয়ে মামুন গাজীর উপর হামলা করে আর গালাগালি করতে থাকে।
আমি বাঁধা দিলে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। এক সময় সায়েম গাজীর হাতে থাকা রড দিয়ে আমার ভাশুর মামুন গাজীকে মাথায়, হাতে, পায়ে এলোপাথারি আঘাত করে রক্তাক্ত করে। আমার শশুর আলম গাজী তার ছেলেকে বাঁচাতে আসলে তাকেও দা দিয়ে কোপ দেয়, দায়ের কোপ তার হাতের কপ্জিতে লাগেএবং জলিল ও নাইম তার বুকে উঠে পারা দেয়।
একপর্যায়ে আমার ভাশুর মামুন গাজী জীবন বাঁচাতে ঘরে দৌর দিলে হামলাকারীরা তার পিছু নিয়ে ঘরে যায় এবং তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় হাতে পায়ে রশি দিয়ে বেঁধে টানতে টানতে বাহিরে নিয়ে আসে। ঘরের দরজা বেড়া দা দিয়ে কোপায় এবং ঘরে থাকা মালামাল টাকা পয়সা স্বর্ন অলংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়।
বাঁধা দিলে আমার ভাশুরের স্ত্রী ও ১০ বছরের শিশু সন্তানকে ও মারধর করে হত্যার হুমকি দেয়। আমরা তাদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাই।তিনি আরও বলেন এই হামলাকারী পিচাশদের শাস্তি চাই।
অভিযোগকারী বলেন নগদ টাকা ও স্বর্নালংকারসহ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন করেন। প্রতিবেশী আইরিন জানান,হামলাকারীরা খুবই ভয়ংকর মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত একাধিক মামলাও রয়েছে। জীবনের ভয়ে এদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলেনা, আমরা এই হামলাকারী মাদক কারবারীর বিচার চাই।
অভিযুক্ত সালাম গাজী জানান,আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পত্রিকাএকাত্তর / মনিরুল ইসলাম