সাভারে স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে অভিভাবকসহ মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা

পত্রিকা একাত্তর

পত্রিকা একাত্তর

১০ জানুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

সাভারে স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে অভিভাবকসহ মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা
ফাইল ছবি | পত্রিকা একাত্তর

সাভারে স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেছেন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা। এসময় একজন অভিভাবক অসুস্থ হয়ে পড়েন।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার থানা স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এই মানববন্ধন করেন সাভার অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

অভিভাকরা বলেন, আমরা ওই স্কুলে প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের সন্তানদের লেখাপড়া করিয়েছি। তারা ৫ম শ্রেণী শেষ করে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হবে এটাই স্বাভাবিক। আগেও এভাবেই চলে আসছে। কিন্তু এবার আমাদের প্রায় ৭২ জন সন্তান সেখানে ভর্তি হতে পারছে না। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে স্কুল কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা আজ ভর্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আজও ভর্তি করছে না। আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

অবস্থান নেওয়া জমজ সন্তানের মা রুমি বলেন, আমার দুই সন্তান হাফসা হাসান অর্পি ও হুমায়রা হাসান অর্নি ওই স্কুলের প্রাইমারি শাখায় প্রায় ৭ বছর অতিবাহিত করেছে। কিন্তু আজ ওই স্কুল থেকে আমাদের সন্তানদের বের করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের বের করে দিয়ে স্কুলের গেট বন্ধ করে দিয়েছে।

শিক্ষার্থী আব্দুর রহমানের অভিভাবক মা মোমেনা খাতুন বলেন, আমাদের সন্তানকে এই স্কুলেই ভর্তি করানোর আশ্বাস দিয়ে ভর্তি করানো হয়েছিল। আমি সকাল ৯ টা থেকে স্কুলসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি কোথাও সমাধান মিলছে না। স্কুল কতৃপক্ষ এই স্কুলে ভর্তির আশ্বাস দিলে আমি অন্য কোন স্কুলে ভর্তির ফরমও তুলি নাই। এখন তো কোন স্কুলে ভর্তি করাতে পারছি না। আমি মানুষিক ভাবে ভেঙে পড়েছি। আর সকাল ৯ টা থেকে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে শারিরীক ভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়লাম।

শিক্ষার্থী তাসনিম আহমেদের মা তাহেরা খানম রত্না বলেন, নার্সারি থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার সুযোগ ছিল। হঠাৎ করেই এই সিস্টেম পরিবর্তন করা হয়েছে। যার ফলে দীর্ঘ ৭ বছর এক স্কুলে পড়ার পর অন্য স্কুলে ভর্তি হতে চাপ সৃষ্টি করছেন স্কুল কতৃপক্ষ। আমরা আমাদের সন্তানদের এই স্কুলে ভর্তি করতে চাই।

শিক্ষার্থী তাসমীন হাসান প্রমির মা নাসরিন হাসান বলেন, আমাদের দাবি একটাই আমাদের সন্তান সাভার অধর চন্দ্র হাই স্কুলেই ভর্তি হতে হবে। আমাদের সন্তানদের বঞ্চিত না করে অগ্রাধিকার দেওয়া হোক।

শিক্ষার্থী সেলিম বলেন, রোকেয়া ম্যাডাম আমাদের বলেছিলেন, লটারি হলেও আমরা এখানেই ভর্তি হতে পারবো। এখন ভর্তি হতে পারছি না। অন্য স্কুলে ভর্তি হতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাগবে। এটাকাও আমার পরিবার বহন করতে পারবে না। ভর্তি না করালে আশ্বাস দেওয়া হলো কেন? এখানে ভর্তি না করানো হলে আমি আর ভর্তিই হবো না।

এব্যাপারে অধর চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখার প্রধান শিক্ষক মিসেস রোকেয়া হক এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে চন্দন নামের এক ব্যক্তি রিসিভ করেন। ছেলে পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, মা অসুস্থ! তিনি এখন কথা বলতে পারবেন না। হসপিটালে ভর্তি আছেন ।

অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন পিটার গোমেজ জানান, এটা আসলে সরকারি প্রক্রিয়া। লটারিতে যারা চাঞ্জ পেয়েছে তারা ভর্তি হয়েছে। যারা চাঞ্জ পায় নি তারা বিভিন্নভাবে ভর্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। তবে অভিভাবকদের দাবি লটারি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হলে তাদের সন্তানরাই চাঞ্জ পেতো।

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news