হালিম হত্যার দুই ঘাতক এখনো পালাক, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হালিমের পরিবার

বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান, খুলনা

২ জুলাই, ২০২২, ১ year আগে

হালিম হত্যার দুই ঘাতক এখনো পালাক, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হালিমের পরিবার

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহত হয় হালিম ফকির(২৭)। ঘটনাটি ঘটেছিলো বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী বাজার সংলগ্ন স’মিল এর সামনে পিচের রাস্তার উপর।

গত ৬ মে ২০২২ শুক্রবার আনু: বিকাল ৫টার সময় বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালি বাজার এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে বাবুল ফকির, দরবেশ ফকির, ইকবাল গাজী ও নুরজাহান বেগম মিলে আকবর ফকিরের পুত্র হালিম ফকির (২৭) এর উপর অতর্কিত হামলা করে। বাবুল ফকির গং লাঠি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হালিমকে বেদম মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। নিহত হালিমের পরিবার জানায়,রাস্তার পাশে ভ‍্যান গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে এই হতহতর ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা এসে আহত অবস্থায় হালিম ফকির কে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে হাসপাতালে হালিম ফকির মারা যায়।

পরে পুলিশ ও এলাকাবাসির সহায়তায় পাইকগাছা ও দাকোপ থানা এলাকা থেকে হালিম হত্যার আসামী বাবুল ফকির ও তার জামাই ইকবাল হোসেন কে আটক করে।

হত্যাকান্ডের হুকুমদাতা মামলার ২ নং আসামী নিহতের বড় চাচা দরবেশ ফকির রয়েছে পলাতক। মাঝে মধ্যে রাতে বাড়িতে এসে মামলার বাদীসহ তার পরিবারকে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

নিহত হালিমের বড় ভাই,মামলার বাদী সেলিম ফকির বলেন,আমার চোখের সামনে আমার ভাই কে আসামীরা নির্মম ভাবে হত্যা করে। দীর্ঘ দুই মাস অতিবাহিত হলেও মামলার দুই আসামিকে পুলিশ এখন আটক করেনি। হত্যার মুল নায়ক আমার বড় চাচা দরবেশ ফকির এবং ছোট ফুফু নুরজাহান বেগম এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমি দ্রুত তাদের গ্রেফতার পুর্বক শাস্তির দাবি জানাই।

নিহত হালিমের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম জানান, আমার স্বামী ছিলেন সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি। আমার একটি ৫ বছরের মেয়ে রয়েছে। আমার সামনে ওরা আমার স্বামী কে হত্যা করেছে। দরবেশ ফকির নির্দেশে তারা আমার স্বামী হালিম কে এলোপাথাড়ি মারপিট করে হত্যা করে। বতর্মান মামলাটি নানান ভাবে প্রভাবিত করা চেষ্টা করছে। ভুক্তভোগী পরিবার বলেন,মামলার আসামীদের বাচাতে তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের সাথে গোপনে যোগাযোগ করে চলেছে। ফলে আসামীরা বাড়িতে আসলেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। বতর্মান আসামীদের অব‍্যাহত হুমকির ভয়ে রাতে বাড়িতে থাকা নিরাপত্তা হিনতায় ভুকছি।

বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহা জালাল বলেন,আসামি দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পত্রিকা একাত্তর /আখতারুল ইসলাম

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news