নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মারামারিতে ইদ্রিস আলী (৬০) নামে এক ব্যক্তি প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ই অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব হরিণচড়া গ্রামের বটতলী বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। নিহত ইদ্রিস আলী একই এলাকার সপির উদ্দিনের পুত্র।
মারামারিতে লাঠি দিয়ে আঘাতকারী হাসিকুল ইসলাম কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে ডোমার থানা পুলিশ। ঘটনাস্থলে সে নিজেও আহত হওয়ায় পুলিশ হেফাজতে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত হাসিকুল কবিরাজ একই এলাকার আমির আলীর পুত্র।
১০নং হরিণচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাহবুব আলম বলেন, আজ সন্ধ্যার পর বটতলী বাজার এলাকায় মারামারির ঘটনাটি ঘটে। এতে গুরুতর আহতাবস্থায় ইদ্রিস আলীকে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল ইদ্রিস আলী ও হাসিকুল কবিরাজের পরিবারের মধ্যে। ইদ্রিস আলীর গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মারামারির সুত্রপাত হলে, গ্রেপ্তারকৃত হাসিকুল কবিরাজ পড়ে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে ইদ্রিসের মাথায় আঘাত করেন। আহতাবস্থায় ইদ্রিস আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এলাকাবাসী।
ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তপন কুমার রায় বলেন, গুরুতর আহতাবস্থায় রোগী ইদ্রিস আলীকে নিয়ে আসার পথিমধ্যে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এরপর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আরেক রোগী হাসিকুল কবিরাজ নামে একজনকে নিয়ে আসা হলে আমরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করি।
মারামারিতে একজন নিহতের ঘটনাটির সত্যতা দিয়ে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, তাদের দুই পরিবারের মাঝে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। আজকে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মারামারির সুত্রপাত হলে ইদ্রিসের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন হাসিকুল। এতে মারা যান ইদ্রিস। তাৎক্ষনিক ভাবে হাসিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং মারামারির ঘটনায় তিনিও আহত হওয়ায় পুলিশ হেফাজতে রংপুরে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। মরদেহ হাসপাতাল থেকে থানায় নেয়া হয়েছে।
পত্রিকা একাত্তর / রিশাদ