ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে মরিয়ম (৩৮) নামের এক গর্ভবতী মহিলার আত্মহত্যা নাকি হত্যা এই নিয়ে রহাস্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত মহিলা মান্দিয়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের স্ত্রী এবং একই উপজেলার হরিণাকুন্ডু পৌরসভার দাসপাড়া গ্রামের ইজ্জত আলী সাপুড়ের মেয়ে।
স্থানীয় লোকজন এবং স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায় রবিবার রাত ১টার দিকে বিষপান করলে মরিয়মকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়৷ কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান বিষপানে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তবে মহিলাটি অন্তঃসত্তা ছিলেন, পোস্ট মর্টামের পরে বিস্তারিত জানা যাবে।
নিহতের ছেলে জিহাদ (১২) জানাই রাতে মায়ের চিৎকার শুনতে পেয়ে দেখি আব্বা আমার মাকে জোর পূর্বক কিছু খাওয়াচ্ছে মরিয়মের পিতা ইজ্জত আলী জানান আমার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করে আমার মেয়ের মুখে বিষদিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চায়।
৭নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুদ আলী বলেন এদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো মহিলার স্বামী গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করতো এই নিয়ে দুইজনার মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়৷হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে বাকিটা ময়না তদন্ত শেষে জানা যাবে।
পত্রিকা একাত্তর /মাহফুজ