ভোলা সদর উপজেলার ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জংশন বাজার এলাকার সাধারণ মানুষের জায়গায় জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে জাহের,মনির,শাহজাহান গংদের বিরুদ্ধে।
মামলা সূত্রে জানা যায়,গত ১০বছর আগে ছকিনা বেগম মৃত মালেক মাওলানার কাছ থেকে জমি কিনে ভোগ দখল করে আসছেন।সেই ক্রয়কৃত জমি জাহের গংরা দাবী করে এবং ছকিনা বেগম এর কাছে জমির মূল্য বাবদ টাকা দাবি করে আসছেন তারা।টাকা না দেওয়ার কারনে তাকে জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য নানাভাবে হয়রানি নির্যাতন করার অভিযোগে ছকিনা বেগম বাদী হয়ে গত ৩১/৫/২২ তারিখ ভোলা সদর মডেল থানায় জাহের গংদের বিরুদ্বে একটি সাধারন ডায়রি করেন যার নাম্বার-১৬৩৯।
অভিযোগ টি আমলে নিয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন ইলিশা জংশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আইসি মোঃছিদ্দিকুর রহমান কে তদন্ত করে ব্যবস্হা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
অপরদিকে জাহের গংদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মৃত জয়নাল আবেদীন কন্ট্রাকটারের ছেলে মোঃমনোয়ার হোসেন বাবু বাদী হয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন যার নং-১৫৪১.পরে ভুক্তভোগি মনোয়ার অতিরিক্ত ম্যাজিস্টেট আদালতে একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন।যার নং৩১২/২২।
মামলা সূত্রে আরো জানা যায়,
ইলিশা জংশন এর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মরহুম জয়নাল আবেদীন কন্টাকটার এর সম্পত্তি যা সিএমপি রাস্তার পশ্চিম পাশে অবস্থিত, সেখানে এসে তারা তাদের জায়গা দাবি করছে। মরঃ জয়নাল আবেদীন কনট্রাক্টরের পরিবার তাদের দীর্ঘ ৫০ বছরের ভোগদখলীয় সম্পত্তি পুকুর ভরাট করে দোকান বাড়ি ঘর নির্মাণ করার কাজ করছেন, সেখানে ভূমিদস্যু ইউনিয়ন বিএনপি'র বর্তমান সভাপতি জাহের, শাহজাহান, মনির গংরা মরহুম জয়নাল আবেদীন কন্টাকটারের বড় ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান জাতীয় দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন মোঃ জাকির হোসেন,তার ছোটভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, আরেক ভাই গুলশান থানার কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ মনোয়ার হোসেন সহ তাদের ছয় ভাইয়ের নিকট থেকে এই ভূমিদস্যুরা প্রথমে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা এবং একটি দোকানের পজিশন দাবি করেন।সাংবাদিক জাকির এর পরিবার দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা ভোলা সদর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। যেখানে তারা উত্তরে গাজিপুর বাজার মসজিদ, দক্ষিনে গাজীপুর হাই স্কুল সংলগ্ন রাস্তা, পূর্বে লঞ্চঘাট, পশ্চিমে মৌলভীর হাট মাদ্রাসা সংলগ্ন রাজাপুর রাস্তা পর্যন্ত তাদের সীমানা দাবি করেন। অথচ ১৯৮৯ ইং সালে মরহুম জয়নাল আবেদীন কন্টাকটার এই জায়গাটা কিনার পর থেকে সাথে সাথে জৈনপুর হুজুর এর অনুপ্রেরণায় মৌলভীর হাট মাদ্রাসার জন্য তার ক্রয় কৃত জমির কিছু অংশ দান করেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভোলা সদর উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তার তদন্ত রিপোর্ট চাইলে, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে, রিপোর্ট প্রেরন করেন যে,উক্ত জায়গাটি মরহুম জয়নাল আবদীন কন্টাকটারের ক্রয় কৃত সম্পত্তি যার নামজারি, খাজনা, বিএস খতিয়ান সবকিছুই সঠিক। পরে গত ০৬/০৬/২০২২ ইং তারিখে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এমপি ২০৬/২২ইং মামলার রায় প্রদান করে স্পষ্টভাবে বলে দেন যে, উক্ত জমি মরহুম জয়নাল আবদীন কন্টাকটারের ছেলে সাংবাদিক জাকির গংদের, সরকারের খাজনা নামজারি সবকিছু পরিষোধক্রমে তাদের রেকর্ডকৃত সম্পত্তি।
মহামান্য আদালত এই ভূমিদস্যু দেরকে হুঁশিয়ারি করে দেন যে, ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যা, অসৎ উদ্দেশ্যে কারো বিরুদ্ধে মামলা দিলে তার পরিণতি ভালো হবে না। জাহের মনির শাহজাহান ভূমিদস্যুদের কারণে সাংবাদিক জাকির গংদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা। এ ধরনের অনেক চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে এই ভূমিদস্যু পরিবারের প্রতি, আসলে তারা পারিবারিকভাবেই ভূমিদস্যুতার এবং চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ত। ভুক্তভোগী অনেক পরিবার, এদের ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে নারাজ। ভূমিদস্যু জাহের মনির সাংবাদিক জাকিরের ছোট ভাইদেরকে নানান ধরনের ভয়-ভীতি এমনকি হত্যার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন এ ব্যাপারে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং পরে একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। যার নং- ১৫৪১। পরে ভুক্তভোগী মনোয়ার হোসেন বাবু বাদী হয়ে আদালতে এমপি ৩১৩/২২ একটি মামলা দায়ের করেন।এই ভূমিদস্যুদের দারা ইলিশা জংশন অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ এবং অনেকেই হুমকি-ধমকি ভয়ভীতির মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ দায়িত্ব প্রাপ্ত সকল কর্তৃপক্ষের নিকট ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষদের দাবি অতি দ্রুত যেন তাদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পত্রিকা একাত্তর /মহিউদ্দিন