তুমুল বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢল চিনিয়ে নিল লাখো মানুষর চোখের ঘুম ও মাথাগুজার শেষ আশ্রয়টুকুও। নেত্রকোণার আকাশ ক্রমশই ভারি হচ্ছে চিহ্নমূল ও সর্বহারা মানুষের আর্তনাদের চিৎকারে।
নেত্রকোণা জেলার ৬ টি উপজেলার ৩৯ টি ইউনিয়ন পাহাড়িঢল ও অতিবৃষ্টিতে বন্যা কবলিত হয়েছে। সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ৩৬ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কংশনদের বাঁধের একটি অংশে ফাটল দেখা দেয়ায়। তাৎক্ষণিকভাবে মেরামত করা হচ্ছে। প্রায় ৪৭৩ হেক্টর জমির আউশ ধান ও সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। এপর্যন্ত বন্যাদূর্গত মানুষদের জন্য ১৮৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তাতে প্রায় ১৬১৮০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তীতে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হবে।
এছাড়াও বন্যা কবলিত এলাকায় বিতরণের জন্য ৬৮ মেঃ টন চাল, ২,৫০,০০০ টাকা ও ২,০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস।
বন্যা পরিস্হিতি পর্যালোচনার জন্য জেলা ও উপজেলায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসন নেত্রকোণা।
পত্রিকা একাত্তর /খোকন