চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে কৃষক বাবলুর রহমান (৪৫) কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামে সংঘটিত হয়েছে। ঘাতক জমির হোসেন (৫২) কে পুলিশ তার বাড়ি থেকে আটক করেছে।
থানা ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের মৃত রমজান আলীর পুত্র বাবলুর রহমান। আজ (বৃহস্পতিবার) বাবলুর রহমানের ছোট মেয়ের বিয়ে। বিয়ে নিয়ে সে ব্যস্ত। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাবলু সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলো গ্রামের পূর্ব পাড়ায়। পথের মধ্যে বাবলুকে একা পেয়ে একই গ্রামের ইব্রাহীম মন্ডরের পুত্র জমির হোসেন তার হাতে থাকা কোদাল দিয়ে বাবলুর সাইকেলে আঘাত করে।
বাবলু মাটিতে পড়ে যায়। জমির কোদাল দিয়ে বাবলুর মাথায় কোপ মারে। চিৎকারে লোক জন চুটে আসে। জমির পালিয়ে যায়। মুমুর্ষ অবস্থায় বাবলুকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোসণা করেন। খবর পেয়ে জীবননগর থানার উপ পুরিশ পরিদর্শক সৈকত পাঁড়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
ঘাতক জমির হোসেনকে তার বাড়ি থেকে আটক করেন। লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। উল্লেখ্য গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী রুপছান খাতুন(৩২) বলেন, এক মাস আগে জমির হোসেন কোদাল দিয়ে মারার জন্য আমাকে তাড়া করেছিলো। মিলন মিয়ার স্ত্রী সালমা খাতুন (২৬) বলেন, তিনমাস আগে আমাকে কোদাল দিয়ে মেরে আহত করে।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, ঘটনা আমি শুনেছি। জমির হোসেন কারো সাথে মেশেনা। নিজের মতো থাকে। জানতে পারলাম কিছু দিন থেকে তার মানসিক সমস্যা হয়েছে। জীবননগর থানার াফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামীকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পত্রিকা একাত্তর /তারিকুর রহমান