ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে সলিম উদ্দীনকে (৪৬) হত্যার অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় মৃতের ছেলে বাবু রানা এ অভিযোগ করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত সলিম উদ্দীন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বুনিয়াডাঙ্গী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম একই এলাকার খেজু মোহাম্মদের ছেলে।
জানা গেছে, গত চার বছর ধরে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সলিম উদ্দীনের স্ত্রী আকলিমার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি জানার পর স্থানীয়দের মাধ্যমে একাধিকবার বিচার-সালিস করা হলেও সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়নি। গত মঙ্গলবার সকালে সলিমের বাড়িতে গেলে রফিকুলকে আটকে রেখে স্থানীদের কাছে পুনরায় বিচার চান।
মৃতের ছেলে বাবু রানা বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে রফিকুল ইসলাম আমার বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে চলে আসেন। এরপর বিকেলে বাবা বালিয়াডাঙ্গী বাজারে গেলে তাঁকে জোর করে গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। পরে ইজিবাইকে করে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে রফিকুল পালিয়ে যান। খবর পেয়ে বাবাকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি।
বাবু রানা আরও বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বাবার মরদেহ নিতে এসেছি। ময়নাতদন্ত শেষ মরদেহ নিয়ে বাড়িতে ফিরব। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলামসহ জড়িত কয়েকজনকে আসামি করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
বালিয়াডাঙ্গী থানা পরিদর্শক (ওসি) খায়রুল আনাম ডন বলেন, ঠাকুরগাঁও সদর থানার পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছে। এ ঘটনায় সলিম উদ্দীনের পরিবারের লোকজন বালিয়াডাঙ্গী থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।