রাত পোহালেই জেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটারদের কাছে টানতে প্রার্থীরা প্রানান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীরা কেউ বাড়িতে বসে নেই। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা গোটা জেলা ৩৯টি ইউনিয়ন, ৩টি পৌরসভা ও ৩টি উপজেলা পরিষদের সব ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীই এখন জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর বাইরে আ’লীগের বিদ্রোহী দু’প্রার্থী জানিয়েছেন নির্বাচন যদি প্রভাবমুক্ত হয় তাহলে তারা বিজয়ী হবেন।
এদিকে এক প্রার্থী অভিযোগ করেছেন নির্বাচনে আ’লীগ সমর্থিত অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস ও আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু ভোটারদের প্রভাবিত করতে কালো টাকা ছড়িয়েছেন। কালিয়া উপজেলার পঞ্চপ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল হক বলেন, চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা একাধিকবার এসে ভোট প্রার্থনা করেছেন। তবে ভোটাররা চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থী সবার কাছ থেকেই টাকা নিচ্ছেন বলে দুঃখ প্রকাশ করেন।
সদরের বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের মেম্বর ভবরঞ্জন রায় বলেন, প্রার্থীরা সবাই এসেছেন ভোট প্রার্থনা করতে। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি কাকে ভোট দিব। তবে প্রার্থরা কম-বেশী অর্থ খরচ করছেন বলে অভিযোগে জানান। লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু(মোটর সাইকেল) বলেন, আওয়ামী লীগের ত্যাগি, পরীক্ষীত নেতা-কর্মী ও ভোটারদের আগ্রহের কারণেই তার এই নির্বাচনে দাড়ানো।
তিনি নির্বাচনের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি। তবে নির্বাচনের শুরু থেকে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চলছে। নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি। সাবেক জেলা পরিষদের প্রশাসক লোহাগড়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ মোঃ সুলতান মাহমুদ (চশমা) জানিয়েছেন, অপর দু’প্রার্থী কালো টাকা ছড়াচ্ছেন। সাধারণ ভোটাররা কালো টাকায় প্রভাবিত না হয়ে যোগ্য ও দক্ষ প্রার্থীকেই বেছে নেবে।
যদি প্রভাবমুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে বিজয়ের ব্যাপারে বিষয়ে তিনি শতভাগ আশাবাদি। জেলা আ’লীগের সভাপতি,সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক, আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস(আনারস)বলেন, দল-মত নির্বিশেষে ভোটাররা আমাকে আমার সততা ও দক্ষতার জন্য ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে ৩জন এবং সদস্য পদে ১৯জন নির্বাচন করছেন।
পত্রিকা একাত্তর / হাফিজুল নিলু