গুরুদাসপুরে চিরকুট লিখে বৃদ্ধের আত্নহত্যা

উপজেলা প্রতিনিধি, গুরুদাসপুর

৪ জুন, ২০২২, ১ year আগে

গুরুদাসপুরে চিরকুট লিখে বৃদ্ধের আত্নহত্যা

"সাইফুল হাজী আমাকে বাঁচতে দিলনা" চিরকুট লিখে ক্ষোভে দুঃখে চাপ সইতে না পেরে নাটোরের গুরুদাসপুরে হযরত আলী (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ দানাদার কীটনাশক সেবন করে আত্নহত্যা করেছেন। হযরত আলী উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের মৃত কলি প্রামানিকের ছেলে।

তিনি চাঁচকৈড় বাজারের ধান-চাল ব্যবসায়ি হাজী সাইফুল ইসলাম ও তার পার্টনার আসাদ আলীর ম্যানেজার ছিলেন। জানা যায়, শুক্রবার (৩ জুন) বেলা ১১ টার দিকে গদি ঘরে তিনি দানাদার কীটনাশক সেবন করেন এবং গদি ঘরেই বমি করেন।

এঅবস্থায় তাকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। এঘটনায় গুরুদাসপুর থানা পুলিশ হযরতের মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর মর্গে প্রেরন করলে ময়না তদন্ত শেষে শনিবার বিকেলে সাহাপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বিশেষ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মে ঠাকুরগাঁও জেলার শিবগঞ্জ এলাকা থেকে ৯ লাখ টাকার চাল কিনে বাড়ি ফেরার পথে বগুড়ার শাহজাহানপুর এলাকায় গভীর রাতে হযরত আলীকে ট্রাক ড্রাইভার ও তার সহকারীরা মারধর করে ট্রাক থেকে ফেলে দেয়।

এঘটনায় শাহজাহানপুর থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় চাল উদ্ধারের জন্য হযরত আলী তার মহাজনের সাথে চেষ্টা তদবির করে চাল উদ্ধারে ব্যর্থ হন। হযরত আলী মৃত্যুর আগে তার সাবেক মহাজন হাজী আয়নাল হক তালুকদারের কাছে একটি চিরকুট লিখে রেখে যান।

চিরকুটে প্রথমেই লেখা ছিল "বেটা সাইফুল হাজী আমাকে চোর কয়, গালাগালি করে আমাকে চর মারে। আমি তার ক্ষতি করিনি, আমাকে বাঁচতে দিলন"। তবে হাজী সাইফুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেছেন চাপ সইতে না পেরে হযরত আলী আত্নহত্যা করেছেন। তবে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মর্মে লাশ দাফন কাফনের চেষ্টা চলছিল বলে জানা গেছে।

গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন বলেন, ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় জিডি হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পত্রিকা একাত্তর /সোহাগ আরেফিন

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news