নাটোরের গুরুদাসপুরে পরকীয়া প্রেমসহ জমি বন্ধকের টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে মোটর সাইকেলের ক্লাসের তার দ্বারা শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় ভ্যান চালক আব্দুর রহিমকে। আসামী মো. বিপ্লবের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) সকাল ১০ টায় গুরুদাসপুর থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে নাজিরপুরের ভুট্রা ক্ষেতে রহিম হত্যার রহস্য উন্মোচনের এসব জানান সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: জামিল আকতার।
সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৪ মে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নতুন পাড়া আবেদ আলীর ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয় একই এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে রহিমকে। রহিমের স্ত্রী বুলবুলি বেগমের সাথে মালয়েশিয়া প্রবাসী একই এলাকার মো. রায়হানের প্রেম ও বন্ধকী জমির টাকাই জীবনের কাল হয়ে দাড়ায় রহিমের।
বিদেশে থেকে হত্যার নীল নকশা করেন পরকীয়া প্রেমিক রায়হান। খুনের ফরমাশ দেন তার চাচাতো ভাই হান্নান (৪১) ও নিজের সন্তান লিটন (১৭) কে। তারা আবার ১০ হাজার টাকায় ভাড়াটিয়া খুনি হিসেবে গোপিনাথপুর গ্রামের মকছেদ সরকারের মদ্যপায়ি ছেলে বিপ্লবকে (৩৫) ঠিক করে।
হত্যার পর পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্সের মাধ্যমে আসামীদের সনাক্ত করা হয়। গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মতিন এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মো. আকরামুজ্জামানের সমন্বয়ে পৃথক ৩ টি টিম বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে খুনের ৭ দিনের মধ্যেই হত্যার প্রকৃত রহস্য উদ্বঘাটন করে ভাড়াটিয়া খুনি বিপ্লব, হান্নান সরকার ও লিটন সরকারকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার বাদী নিহত রহিমের ভাই আব্দুর রহমানসহ আত্নীয়-স্বজনরা আসামীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করেছেন।
পত্রিকা একাত্তর /মোঃ সোহাগ আরেফিন