সাংবাদিক পরিচয়ে এতিম মাদ্রাসায় চাঁদাবাজি

চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি

১৬ মে, ২০২২, ১ year আগে

সাংবাদিক পরিচয়ে এতিম মাদ্রাসায় চাঁদাবাজি

দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সদ্য ঘোষিত দোহাজারী পৌরসভা ৮ নং রায়জোয়ারা ওয়ার্ডে একটি এতিমখানা ও মাদ্রাসায় সাংবাদিক পরিচয় চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনার বিবরণে দোহাজারী রায় জোয়ারা ইসলামিয়া নাজিরিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর রব্বানীর সাথে কথা বলে জানা যায়।

১৫ই মে রবিবার সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটের সময় মাগরিবের নামাজ চলমান অবস্থায় জাতীয় দৈনিক আলোকিত সকাল এর সাংবাদিক পরিচয় চট্টমেট্রো ১১১৭২৫ কারে করে ২ জন ব্যাক্তি মাদ্রাসায় প্রবেশ করে এতিমখানার বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করতে থাকে ছাত্রদের কাছে বিভিন্ন তথ্য জিজ্ঞাসা করতে থাকে।

এই সময় খবরটি মাদ্রাসা ছড়িয়ে পড়লে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা ইসলাম নকশীবন্দী, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল মাজেদ সওদাগর ও সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ আবু ইউসুফ আল কাদেরী উপস্থিত হয় তাদেরকে মাদ্রাসা সুপারের কক্ষে নিয়ে যান।

এই সময় তাদের পরিচয় জানতে চাইলে, মোঃ আলমগীর হোসেন বাদশা (০১৯০৯০৩৮০৪৫) ও বিপ্লব জয় (০১৭১০৪৮৬০৯০) নিজেদেরকে আলোকিত সকাল পত্রিকা ও আসক ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় নেতা দাবি করে অফিশিয়াল অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে তথ্য অনুসন্ধানে এসেছেন বলে জানান।

এ সময় মাদ্রাসায় কোন এতিম ছাত্র নেই বড়লোকের ছেলেদেরকে এতিম সাজিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করা হচ্ছে বলে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে চাঁদা না দিলে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নিউজ করে দুদক এর মাধ্যমে তদন্ত করা হবে বলে হুমকি দেন।

এসময় মাদ্রাসা সুপার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে ফোন করতে চাইলে তারা ফোন করতে বাধা দেন। পরবর্তীতে মাদ্রাসা সুপারের কাছে দশ হাজার টাকা চেয়ে না পেয়ে নিজেদের যাতায়াত খরচ বাবদ পাঁচ হাজার টাকা চাইলে মাদ্রাসা সুপার দুই হাজার টাকা দেন।

ঘটনাটি আশেপাশে ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক একজন সাংবাদিক দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় সাংবাদিক ও পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দরা উক্ত নম্বর গুলোতে কল করলে নাম্বারগুলা বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানান। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পত্রিকা একাত্তর /ইসমাইল ইমন

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news