ভিজিএফ কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

২৭ এপ্রিল, ২০২২, ২ years আগে

ভিজিএফ কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ভিজিএফ কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। খবরশুনে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। গত(২৬ এপ্রিল) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার রায়পুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সূত্রে জানান যায়, গত মঙ্গলবার বিকালে রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মিটিং হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

মিটিংএ ভিজিএফ কার্ড ও এমপির দেওয়া শাড়ি লুঙ্গী বিতরণের বিষয়ে আলোচনা হয়। মিটিং এর শেষ পর্যায়ে ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড সভাপতি আলী হোসেন তার হাতে ভিজিএফ কার্ড না দেওয়ার বিষয়ে ইউনিয়ন সভাপতির নিকট জানতে চাই। তারপরই সভায় উত্তেজনা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।

রায়পুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আলী হোসেন বলেন, আমার হাতে ভিজিএফ কার্ড না দিয়ে অন্য জনের হাতে দিলে আমি প্রতিবাদ করি। সভাপতি তাহাজ্জত হোসেন মীর্জা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেয়। সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান মাস্টার প্রতিবাদ করলে তাকেও গালাগালি করে। এক পর্যায়ে সাইদুর রহমানের ওপর তাহাজ্জতের লোকজন হামলা করে। সাইদুর রহমান দৌড়ে পালিয়ে যায়। ইফতারের পর তাহাজ্জত ভাইয়ের উপস্থিতে তার ছেলে ও ভাইয়েরা আমাকে মারপিট করে।

রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণে সম্পাদক সাইদুর রহমান (শাহিনুর মাস্টার) বলেন, কার্ড ভাগের মিটিং এর পর্যায়ে সভাপতি তাহাজ্জত হোসেন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিদেয়। পরে তার ছেলে সোহেল মাহমুদ সবুজ আমার ছেলেকে মারপিট করে। তার লোকজন আমাকেও মারতে আসে। সেখানে উপস্থিত লোকজন আমাকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যায়।

সে তার ইচ্ছা মতো ভিজিএয় কার্ড বিতরণ করতে চাইলে প্রতিবাদ করলে এমন ঘটনা ঘটায়। আমি এ ঘচনার বিচার দাবি করেছি উর্দ্ধতন নেতাদের কাছে।

রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি তাহাজ্জোত হোসেন মীর্জা বলেন, এমপি সাহেবের শাড়ি লুঙ্গী ও ভিজিএফ কার্ড বিতরণ নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে হাইস্কুল মাঠে মিটিং এ বসি। সেখানে যারা তালিকা করেছে কার্ডের তাদের হাতে কার্ড তুলে দিই। ৪নং ওয়ার্ড সভপতি আলী হোসেনের কাছে তালিকা চেয়েছি।

সে তালিকা করবে না বলে আমাকে জানিয়ে দেয় আগেই। সেখানে যারা তালিকা করেছিলো আমি তাদের হাতে কার্ড দিয়ে দিই। আলী হোসেন আমাকে চার্জ করলে কিছু উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তবে মারামারির ঘটনা ঘটেনি।

জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বরেন, ঘটনা শুনেছি। তারা এমপি সাহেবকে জানিয়েছে। তিনি ঈদের এটা নিয়ে বসে নিষ্পত্তি করবেন।

রায়পুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই রবকুল হোসেন বলেন, শাড়ি লুঙ্গী ও চাউলের কার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে তাহাজ্জোত হোসেন ও শাহিনুর মাস্টার গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি মারামারির ঘটনা ঘটে। সংবাদ শুনে আমরা ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। রায়পুর বাজারে আমাদের টহল রয়েছে।

পত্রিকা একাত্তর / মোঃ তারিকুর রহমান

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news