কলেজ ছাত্রী শিরিন নিখোঁজ হওয়ার ২৭ দিনেও খোঁজ মেলেনি। আর এ ঘটনায় মিথ্যা মামলা দায়ের করা এবং বিষয়টি অন্যখাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ উঠেছে। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৮ এপ্রিল নিখোঁজ কলেজ ছাত্রী শিরিনের পিতা মজিবুর রহমান বাদী হয়ে গোমস্তাপুর থানায় ১১জনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।
এতে আসামি করা হয়েছে তার আপন চাচা ২ জন ও, ৬ চাচাতো ভাই এবং শিরিনের ২ বান্ধবীকে। এ ঘটনায় তার চাচাত ভাই বারিউল ইসলামকে গত বৃহস্পতিবার পুলিশ আটক করলেও অন্যরা পলাতক রয়েছে। সে বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে। মামলার আসামীদের স্বজনরা জানান, মজিবুর রহমানের সাথে তার চাচা ও চাচাত ভাইদের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ের জেরধরে মামলা-মোকদ্দমা চলছে।
এ ঘটনাকে পুঁজি করে মজিবুর রহমান অপহরণের মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের হয়রানি করছে। এ মামলায় আটক বারিউলের ছেলে স্কুল শিক্ষক নীরব সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন পুলিশ মিথ্যা মামলায় তার পিতাকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
এদিকে নিখোঁজ ওই কলেজ ছাত্রীর পক্ষে থানায় জিডি করা বড় চাচা শরিফুল ইসলাম জানান, তার ছোট ভাই মজিবুর রহমান তার সাথে কোন পরামর্শ না করে তার চাচা ও চাচাত ভাইদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। তবে মজিবুর রহমান জানান, তার মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে প্রচার করলে তার চাচাত ভাই বারিউল তাকে বকাঝকা করে।
সে সন্দেহে তাকে তার মেয়ের অপহরণকারী মনে করেন তিনি। অপরদিকে, রহনপুর পৌর এলাকার নুনগোলা মহল্লায় বসবাসকারী আনসার সদস্য তানিয়া জানান নিখোঁজ হওয়ার ১৫ দিন পর কয়েকজন ছেলেসহ তার পূর্ব পরিচিত কলেজ ছাত্রী শিরিনকে তার বাড়ির এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম জানান, নিখোঁজ কলেজ ছাত্রী শিরিনের সন্ধানে আমরা জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। এছাড়া ডিবি সহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এ বিষয়ে কাজ করছে। প্রসঙ্গতঃ রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্রী শিরিন গত ২৮ মার্চ সকালে কলেজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।
পত্রিকা একাত্তর/ ইয়াহিয়া খান রুবেল