ঠাকুরগঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার সাব রেজিস্ট্রারের কাজী নিয়োগে দূর্নীতি অনিয়মের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন পৌরময়র মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান। 

এতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অর্ন্তবতীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (০২জানুয়ারী) সাব-রেজিস্ট্রার শফি আকরামুজ্জামান জবাব দাখিল করেন জেলা বিজ্ঞ আদালতে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নে নিকাহ রেজিস্ট্রার পদটি শূন্য থাকায় ১জন ও পৌরসভায় দুইজন কাজী নিয়োগ হওয়ার কথা। কিন্তু গেজেট অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না করেই নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব সাব-রেজিস্ট্রার শফি আকরামুজ্জামান দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে গোপনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। গেজেটে প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছর উল্লেখ্য থাকলেও গোপন বিজ্ঞপ্তিতে ৪০ বছর উল্লেখ্য করেছেন। নিয়োগ কমিটির উপদেষ্টাদের দপ্তরের বিজ্ঞপ্তির নোটিশ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা তিনি করেননি।

নিয়োগ কমিটির উপদেষ্টা ইউএনও’র কার্যালয়ে রেজুলেশন দেখানো হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন স্টিভ'র স্বাক্ষর নেই রেজুলেশনে। তাছাড়া সেই রেজুলেশনে আরেক উপদেষ্টা পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমানেরও স্বাক্ষর নেই সেখানে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া না করায় কমিটির উপদেষ্টা পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমান দেওয়ানী কার্যবিধি ৩৯ অর্ডার ১রুল ও ১৫১ ধারামতে ঠাকুরগাঁও সহকারি জজ আদালতে অন্তবর্তীকালিন নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত ২ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর জন্য সাবরেজিস্ট্রার কে নিদের্শ প্রদান করেন। কিন্তু চতুর সাব রেজিস্ট্রার আদালতে সন্তোষজনক জবাব দাখিল না করে সময়ের আবেদন করেন।

২ জানুয়ারী জবাব দাখিলের জন্য আবারো তারিখ নির্ধারণ করেন।

এদিকে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগে অনেক প্রার্থী মোটা অংকের অর্থ প্রদান করেছেন মর্মে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে। 

এবিষয়ে মেয়র আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাণীশংকৈল পৌরসভায় নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ হবে দুর্নীতির আশ্রয়ে অনিয়মভাবে তা মেনে নেওয়ার মতন নয়। তাই আমি আদালতের আশ্রয় গ্রহন করেছি। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন আমার অফিসে নিয়োগ কমিটির সভা দেখানো হলো অথচ আমার স্বাক্ষর নেই বিষয়টি বুঝে নেন। যেকোন অনিয়ম আল্লাহ সহ্য করবেনা, মেয়রকে স্বয়ং আল্লাহ আমার হয়ে আদালতে পাঠিয়েছেন।

এপ্রসঙ্গে নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব সাব-রেজিস্ট্রার শফি আকরামুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন যেহেতু আদালতে মামলা হয়েছে এটা নিয়ম অনিয়মের বিষয়টি কোর্ট আলাদত বুঝবে। তাছাড়া আজকে রবিবার কোর্টে জবাব দাখিল করা হয়েছে।

">

রাণীশংকৈল সাব রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে পৌরমেয়রের আদালতে মামলা!

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

৩ জানুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

রাণীশংকৈল সাব রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে পৌরমেয়রের আদালতে মামলা!

ঠাকুরগঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার সাব রেজিস্ট্রারের কাজী নিয়োগে দূর্নীতি অনিয়মের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন পৌরময়র মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান।

এতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অর্ন্তবতীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (০২জানুয়ারী) সাব-রেজিস্ট্রার শফি আকরামুজ্জামান জবাব দাখিল করেন জেলা বিজ্ঞ আদালতে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নে নিকাহ রেজিস্ট্রার পদটি শূন্য থাকায় ১জন ও পৌরসভায় দুইজন কাজী নিয়োগ হওয়ার কথা। কিন্তু গেজেট অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না করেই নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব সাব-রেজিস্ট্রার শফি আকরামুজ্জামান দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে গোপনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। গেজেটে প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছর উল্লেখ্য থাকলেও গোপন বিজ্ঞপ্তিতে ৪০ বছর উল্লেখ্য করেছেন। নিয়োগ কমিটির উপদেষ্টাদের দপ্তরের বিজ্ঞপ্তির নোটিশ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা তিনি করেননি।

নিয়োগ কমিটির উপদেষ্টা ইউএনও’র কার্যালয়ে রেজুলেশন দেখানো হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন স্টিভ'র স্বাক্ষর নেই রেজুলেশনে। তাছাড়া সেই রেজুলেশনে আরেক উপদেষ্টা পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমানেরও স্বাক্ষর নেই সেখানে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া না করায় কমিটির উপদেষ্টা পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমান দেওয়ানী কার্যবিধি ৩৯ অর্ডার ১রুল ও ১৫১ ধারামতে ঠাকুরগাঁও সহকারি জজ আদালতে অন্তবর্তীকালিন নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত ২ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর জন্য সাবরেজিস্ট্রার কে নিদের্শ প্রদান করেন। কিন্তু চতুর সাব রেজিস্ট্রার আদালতে সন্তোষজনক জবাব দাখিল না করে সময়ের আবেদন করেন।

২ জানুয়ারী জবাব দাখিলের জন্য আবারো তারিখ নির্ধারণ করেন।

এদিকে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগে অনেক প্রার্থী মোটা অংকের অর্থ প্রদান করেছেন মর্মে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে।

এবিষয়ে মেয়র আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাণীশংকৈল পৌরসভায় নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ হবে দুর্নীতির আশ্রয়ে অনিয়মভাবে তা মেনে নেওয়ার মতন নয়। তাই আমি আদালতের আশ্রয় গ্রহন করেছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন আমার অফিসে নিয়োগ কমিটির সভা দেখানো হলো অথচ আমার স্বাক্ষর নেই বিষয়টি বুঝে নেন। যেকোন অনিয়ম আল্লাহ সহ্য করবেনা, মেয়রকে স্বয়ং আল্লাহ আমার হয়ে আদালতে পাঠিয়েছেন।

এপ্রসঙ্গে নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব সাব-রেজিস্ট্রার শফি আকরামুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন যেহেতু আদালতে মামলা হয়েছে এটা নিয়ম অনিয়মের বিষয়টি কোর্ট আলাদত বুঝবে। তাছাড়া আজকে রবিবার কোর্টে জবাব দাখিল করা হয়েছে।

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news