নেশা ও জুয়ার খেলার টাকা না পেয়ে বাবাকে হত্যা চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

১৬ এপ্রিল, ২০২২, ২ years আগে

নেশা ও জুয়ার খেলার টাকা না পেয়ে বাবাকে হত্যা চেষ্টা

নীলফামারী সদরের মানিকের মোড় কলোনিতে নেশা ও জুয়া খেলার টাকা পেয়ে বাবাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন এলএসডি গুদামে শ্রমিকের কাজ করে আসছেন রেজাউল ইসলাম বাবু। কাজ থেকে ফিরে প্রতিনিয়ত ছেলেকে টাকা দিতেন সে। ছেলে রানা নেশা ও জুয়ায় আসক্ত হওয়ার কথা জানতে পারলে টাকা দেয়া বন্ধ করেন রেজাউল ইসলাম বাবু।

টাকা না পেয়ে বাবাকে হত্যার চেষ্টা করে ছেলে। শ্বাস রুদ্ধ করে মারার চেষ্টা করে তাকে। কোন রকম প্রাণে বাঁচলেও একটি হাত ভেঙে দেয়, দুটি দাঁত‌ উপরে দেয় ও মাথা ফাটিয়ে দেয় রেজাউল ইসলাম বাবুর।

এমতাবস্থায় চাচা স্বপন কথা বলতে গেলে কাপড় দিয়ে উরুর মাংস তুলে নেয় নেশাগ্রস্ত ভাতিজা। তার মা মিমিও বড় সিন্ডিকেট।

স্বামীকে মেরে ফেলার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা তার। এজন্য এক বছর আগে স্বামীকে ডিফোর্স দিয়ে জোর করে স্বামীর সংসারে ডুকে ছেলেকে দিয়ে স্বামী হত্যার চেষ্টা চলছে তার।

মা ও ছেলে মিলে রেজাউল ইসলাম বাবুকে প্রতি মুহূর্তে নির্যাতনও করছে। বাধ্য হয়ে স্ত্রী সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে রেজাউল ইসলাম বাবু।

তিনি বলেন, আমার বাড়িতে আমাকে ঢুকতে দেয় না। দা, বঁটি নিয়ে মা ছেলে বসে থাকে আমাকে মেরে ফেলার জন্য। আমার স্ত্রী আমাকে এক বছর আগে ডিভোর্স দিছে। ছেলেকে লাগিয়ে দিয়ে জোর করে আমার সাথে সংসার করছে।

আমি বুঝতে পারি নাই ওরা আমাকে মেরে ফেলার প্লান করেছে। আমি তাদের বিচার চাই। আমার এই নেশা গ্রস্থ ছেলের জন্য এলাকাবাসীও অতিষ্ঠ। কেউ ঝগড়া থামাতে আসলে তাদেরকেও মেরে ফেলার জন্য দা বঁটি নিয়ে মেরে ফেলতে যায়।

বেশ কয়েকজকে মেরে জখমও করেছে। আমার ভাই কথা বলায় আমার স্ত্রী ও ছেলে মিলে তাকেও শ্বাস রুদ্ধ করে মারার চেষ্টা করে। আমার ছেলে তার হাতে বঁটি দিয়ে কোপ দেয়। আর স্ত্রী কাপড় দিয়ে উরুর মাংস তুলে ফেলে।

এভাবে ছেলের উপর নির্যাতন দেখে বাবুর মা রোকেয়া বেগম তার ভাইদেরকে ডাকে। এক পর্যায়ে ঝগড়া থামাতে রোকেয়ার ভাই জুয়েল শাহ্ ছুটে আসেন। তাকেও মা ও ছেলে মিলে মারপিট করে।

শুধু তাই নয়, নেশাগ্রস্ত হয়ে রানা মানুষের সাথে নানা ধরনের খারাপ আচরণ করে। এলাকার মানুষকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে থাকে । তাদের আত্যাচারে একেবারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

জুয়েল শাহ্ বলেন, বিষয়টি আমার বড় বোন বেশ কয়েকদিন ধরে আমার কাছে আসছে। আমি তাদের বাড়িতে গিয়ে মারামারি দেখলে থামাতে বলি।

এজন্য আমাকে তারা দুজনে বেধড়ক মারপিট করে। তারা দুজনে খুব উদ্ভট হয়ে গেছে এদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।

প্রতিবেশী ফরিদা আক্তার বলেন, তাদের আত্যাচারে এলাকার মানুষ ঘুমও পারতে পারে না। ছেলেটি নেশা করে এসে এলাকার মানুষকে অযথা মারপিট করে। আমরা এলাকার মানুষ চাই এর উপযুক্ত শাস্তি।

নাসরিন আক্তার বলেন, তাদের মারামারি দেখে ভালো লাগে না। মিমংসা করে দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। এজন্য তারা মা ও ছেলে মিলে আমার পরিবার সম্পর্কে মিথ্যা বানোয়াট বাজে বাজে কথা বলে বেড়াচ্ছে।

প্রতিবেশী লিমন বলেন, প্রতিদিন তাদের ঝগড়া চেঁচামেচি লেগে থাকে। বাবুকে বাড়িতে ঢুকতে দেয় না মা ছেলে মিলে। উপার্জনের সব টাকা নিয়ে ছেলে নেশা করে।

না হলে জুয়া নিয়ে পড়ে থাকে। আমরা কথা বলায় আমার বাবা ও আমাকেও মারপিট করেছে। এই ছেলে ও তার মায়ের যদি বিচার করা না হয় তাহলে এখানে যে কোনো একজন মার্ডার হবে। সবাই শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবে করার কিছুই থাকবে না কারো।

পত্রিকা একাত্তর/ সুমন

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news