ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জ পৌর শহরের চৌরাস্তা হাটের পেরিফেরি ভুক্ত সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মান কাজ বন্ধ করা সহ দখলদারদের চিহিৃত করে সাত কার্য দিবসের মধ্যে উচ্ছেদ করতে অবশেষে নির্দেশ দিয়েছে ভুমি মন্ত্রনালয়। নির্দেশের সাত কার্য দিবস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। অব্যাহত রয়েছে বহুতল ভবন নির্মান কাজ। 

মন্ত্রনালয়ে নির্দেশ বাস্তবায়নে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন চোর পুলিশের খেলা খেলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলছেন, অভিযোগ ঠিক না। চিঠি পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত আলীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২২ ডিসেম্বর ভূমি মন্ত্রনালয়ের সায়রাত-২ শাখার সহকারি সচিব জসিমউদ্দীন পাটওয়ারী স্বাক্ষরিত এক পত্রে পীরগঞ্জের চৌরাস্তা হাটের পেরিফেরি ভুক্ত জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মান বন্ধ পূর্বক সকল দখলদারদের চিহিৃত করে সাত কার্য দিবসের মধ্যে উচ্ছেদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে ভূমি মন্ত্রনালয়কে অবহিত করার জন্য ঠাকুরগাও জেলা প্রশাসককে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়।

কিন্তু শনিবার পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, মন্ত্রনালয়ের ঐ পত্রটি পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ইনডোজ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

আর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম বলছেন, তিনি এখনো চিঠি পাননি। মৌখিক ভাবে শুনেছেন। পেলে ব্যবস্থা নেবেন।

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত আলীর অভিযোগ, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এর আগে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবদেন করা হলেও ব্যবস্থা নেননি তারা। অবশেষে ভুমি মন্ত্রনালয়ের সচিবে কাছে আবেদন করেন। সেখান থেকে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। গড়িমসি করা হচ্ছে। ডিসি বলছেন, ইউএনও ব্যবস্থা নিবেন আর ইউএনও বলছেন চিঠি পাইনি। 

 মন্ত্রনালয়ের আদেশ বাস্তবায়নে চোর পুলিশের খেলা খেলছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। 

অভিযোগ রয়েছে, শত কোটি টাকা মুল্যের হাটের সরকারি জমি প্রভাবশালীদের পাইয়ে দিয়ে নেপথ্যে কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম।

প্রায় আড়াই মাস আগে প্রভাবশালীরা পেরিফের ভুক্ত হাটের জমিতে বহুতল বিশিষ্ট পাকা ভবন নির্মান কাজ শুরু করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করা হয়।

সে সময় জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান ইউএনও রেজাউল করিমকে নির্মান কাজ বন্ধ করে দিতে বলেন। ইউএনও রেজাউল করিম তখন দখলদারদের সাথে আতাত করে তাদের হাটের জমি পাইয়ে দিতে নানা কৌশল অবলম্বন করেন।

তিনি একদিকে দখলদারদের দ্রুত নির্মান কাজ শেষ করতে বলেন আর অন্যদিকে জেলা প্রশাসককে জানান, কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি একাধিক বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার পরও ইউএনও’র কথায় জেলা প্রশাসকও চুপ থাকেন।

হাটের জমিতে দিন রাত চলতে থাকে অবৈধ বহুতল ভবন নির্মান কাজ। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কুট কৌশলে বর্তমানে সেখানে প্রভাবশালীদের ৮ তলা ভবনের ৫ তলার নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। ষষ্ঠ তলার নির্মান কাজ চলছে। এ অবস্থায় মন্ত্রনালয়ের আদেশও ধামাচাপা দিতে নানা ফন্দি খুজছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। দখলদারদের পক্ষ নিয়ে কর্মকর্তাদের ভুল বুঝানোর চেষ্টা করছেন। 

সুত্র জানায়, প্রশাসনকে থামাতে হাটের জমির অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে প্রকার ভেদে এক থেকে তিন লাখ টাকা করে চাঁদা তুলেছেন এক প্রভাবশালী নেতা।তিনিপ্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দেন দরবার করছেন। এদিকে পৌর দপ্তরে খোজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভা থেকে হাটের জমিতে নির্মানাধীন বহুতল ভবনের কোন প্লান অনুমোদন নেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নির্মান কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

কাছ থেকে প্রকার ভেদে এক থেকে তিন লাখ টাকা করে চাঁদা তুলেছেন এক প্রভাবশালী নেতা। তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দেন দরবার করছেন। এদিকে পৌর দপ্তরে খোজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভা থেকে হাটের জমিতে নির্মানাধীন বহুতল ভবনের কোন প্লান অনুমোদন নেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নির্মান কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।বিষয়ে পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা ইশরামুল হক বলেন, হাটের জমিতে যেসব ভবন নির্মান করা হচ্ছে তা কোটটিরই প্লান অনুমোদন দেয়নি পৌরসভা। এগুলো বন্ধ করার জন্য তিনিও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলেছেন।

কিন্তু কাজ হয়নি। মেয়র আরো জানান, ১৯৯০ সাল পর্যন্ত পৌরসভা থেকে বার্ষিক ইজারা প্রদান করা হয় বাজারটি। এর পর ভুমি অফিসের লোকজনের সহায়তায় হাটের অনেকাংশে রাতারাতি অবৈধ বিল্ডিং, বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় পৌর কতৃপক্ষ তা বাজার হিসেবে ইজারা দিতে চাইলেও প্রভাবশালী দখলদারদের ভয়ে কেউ লীজ নিতে রাজি হয়নি। 

২০০৯ সালে এলজিআরডি মন্ত্রালয়ের পৌর-২ বিবিধ-স্থায়ীকমিটি-৭/২০০৯/১৩২৯ তাং ২০/১০/০৯ স্বারকে এক পত্রে ঠাকুরগাও জেলা প্রশাসককে হাটের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।

সে আদেশও অপ্সাত কারণে বাস্তবায়ন হয়নি। এখন হাটের জমিতে আবার নতুন করে বহুতল ভবন তোলা হচ্ছে। এটা কোন ভাবেই কাম্য নয়।

হাটের জমিতে বহুতল ভবন নির্মানকারী রেজওয়ানুল হক বিপ্লব জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বসবাস করে আছেন।

এখন পাকা ভবন তুলছেন। এখন পর্যন্ত জমির মালিকানার কোন কাগজ হাতে পাননি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার করে দিতে চেয়েছেন বলে জানান তিনি। তাছাড়া তিনিই শুধু নন অনেকেই পাকা স্থাপনা করছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম জানান, তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ গুলি সত্য নয়।

ভুমি মন্ত্রনায়ল থেকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কোন চিঠি তিনি পাননি। তবে ডিসি স্যারের মুখে শুনেছেন বলে জানান। চিঠি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

">

পীরগঞ্জে শত কোটি টাকার সরকারি জমিতে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন!

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি

২ জানুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

পীরগঞ্জে শত কোটি টাকার সরকারি জমিতে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন!

ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জ পৌর শহরের চৌরাস্তা হাটের পেরিফেরি ভুক্ত সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মান কাজ বন্ধ করা সহ দখলদারদের চিহিৃত করে সাত কার্য দিবসের মধ্যে উচ্ছেদ করতে অবশেষে নির্দেশ দিয়েছে ভুমি মন্ত্রনালয়। নির্দেশের সাত কার্য দিবস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। অব্যাহত রয়েছে বহুতল ভবন নির্মান কাজ।

মন্ত্রনালয়ে নির্দেশ বাস্তবায়নে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন চোর পুলিশের খেলা খেলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলছেন, অভিযোগ ঠিক না। চিঠি পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত আলীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২২ ডিসেম্বর ভূমি মন্ত্রনালয়ের সায়রাত-২ শাখার সহকারি সচিব জসিমউদ্দীন পাটওয়ারী স্বাক্ষরিত এক পত্রে পীরগঞ্জের চৌরাস্তা হাটের পেরিফেরি ভুক্ত জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মান বন্ধ পূর্বক সকল দখলদারদের চিহিৃত করে সাত কার্য দিবসের মধ্যে উচ্ছেদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে ভূমি মন্ত্রনালয়কে অবহিত করার জন্য ঠাকুরগাও জেলা প্রশাসককে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়।

কিন্তু শনিবার পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, মন্ত্রনালয়ের ঐ পত্রটি পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ইনডোজ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

আর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম বলছেন, তিনি এখনো চিঠি পাননি। মৌখিক ভাবে শুনেছেন। পেলে ব্যবস্থা নেবেন।

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত আলীর অভিযোগ, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এর আগে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবদেন করা হলেও ব্যবস্থা নেননি তারা। অবশেষে ভুমি মন্ত্রনালয়ের সচিবে কাছে আবেদন করেন। সেখান থেকে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। গড়িমসি করা হচ্ছে। ডিসি বলছেন, ইউএনও ব্যবস্থা নিবেন আর ইউএনও বলছেন চিঠি পাইনি।

মন্ত্রনালয়ের আদেশ বাস্তবায়নে চোর পুলিশের খেলা খেলছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

অভিযোগ রয়েছে, শত কোটি টাকা মুল্যের হাটের সরকারি জমি প্রভাবশালীদের পাইয়ে দিয়ে নেপথ্যে কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম।

প্রায় আড়াই মাস আগে প্রভাবশালীরা পেরিফের ভুক্ত হাটের জমিতে বহুতল বিশিষ্ট পাকা ভবন নির্মান কাজ শুরু করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করা হয়।

সে সময় জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান ইউএনও রেজাউল করিমকে নির্মান কাজ বন্ধ করে দিতে বলেন। ইউএনও রেজাউল করিম তখন দখলদারদের সাথে আতাত করে তাদের হাটের জমি পাইয়ে দিতে নানা কৌশল অবলম্বন করেন।

তিনি একদিকে দখলদারদের দ্রুত নির্মান কাজ শেষ করতে বলেন আর অন্যদিকে জেলা প্রশাসককে জানান, কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি একাধিক বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার পরও ইউএনও’র কথায় জেলা প্রশাসকও চুপ থাকেন।

হাটের জমিতে দিন রাত চলতে থাকে অবৈধ বহুতল ভবন নির্মান কাজ। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কুট কৌশলে বর্তমানে সেখানে প্রভাবশালীদের ৮ তলা ভবনের ৫ তলার নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। ষষ্ঠ তলার নির্মান কাজ চলছে। এ অবস্থায় মন্ত্রনালয়ের আদেশও ধামাচাপা দিতে নানা ফন্দি খুজছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। দখলদারদের পক্ষ নিয়ে কর্মকর্তাদের ভুল বুঝানোর চেষ্টা করছেন।

সুত্র জানায়, প্রশাসনকে থামাতে হাটের জমির অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে প্রকার ভেদে এক থেকে তিন লাখ টাকা করে চাঁদা তুলেছেন এক প্রভাবশালী নেতা।তিনিপ্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দেন দরবার করছেন। এদিকে পৌর দপ্তরে খোজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভা থেকে হাটের জমিতে নির্মানাধীন বহুতল ভবনের কোন প্লান অনুমোদন নেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নির্মান কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

কাছ থেকে প্রকার ভেদে এক থেকে তিন লাখ টাকা করে চাঁদা তুলেছেন এক প্রভাবশালী নেতা। তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দেন দরবার করছেন। এদিকে পৌর দপ্তরে খোজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভা থেকে হাটের জমিতে নির্মানাধীন বহুতল ভবনের কোন প্লান অনুমোদন নেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নির্মান কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।বিষয়ে পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা ইশরামুল হক বলেন, হাটের জমিতে যেসব ভবন নির্মান করা হচ্ছে তা কোটটিরই প্লান অনুমোদন দেয়নি পৌরসভা। এগুলো বন্ধ করার জন্য তিনিও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলেছেন।

কিন্তু কাজ হয়নি। মেয়র আরো জানান, ১৯৯০ সাল পর্যন্ত পৌরসভা থেকে বার্ষিক ইজারা প্রদান করা হয় বাজারটি। এর পর ভুমি অফিসের লোকজনের সহায়তায় হাটের অনেকাংশে রাতারাতি অবৈধ বিল্ডিং, বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় পৌর কতৃপক্ষ তা বাজার হিসেবে ইজারা দিতে চাইলেও প্রভাবশালী দখলদারদের ভয়ে কেউ লীজ নিতে রাজি হয়নি।

২০০৯ সালে এলজিআরডি মন্ত্রালয়ের পৌর-২ বিবিধ-স্থায়ীকমিটি-৭/২০০৯/১৩২৯ তাং ২০/১০/০৯ স্বারকে এক পত্রে ঠাকুরগাও জেলা প্রশাসককে হাটের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।

সে আদেশও অপ্সাত কারণে বাস্তবায়ন হয়নি। এখন হাটের জমিতে আবার নতুন করে বহুতল ভবন তোলা হচ্ছে। এটা কোন ভাবেই কাম্য নয়।

হাটের জমিতে বহুতল ভবন নির্মানকারী রেজওয়ানুল হক বিপ্লব জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বসবাস করে আছেন।

এখন পাকা ভবন তুলছেন। এখন পর্যন্ত জমির মালিকানার কোন কাগজ হাতে পাননি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার করে দিতে চেয়েছেন বলে জানান তিনি। তাছাড়া তিনিই শুধু নন অনেকেই পাকা স্থাপনা করছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম জানান, তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ গুলি সত্য নয়।

ভুমি মন্ত্রনায়ল থেকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কোন চিঠি তিনি পাননি। তবে ডিসি স্যারের মুখে শুনেছেন বলে জানান। চিঠি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news