চলতি মৌসুমে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সজিনার বাম্পার ফলন হয়েছে। পাতাশূন্য গাছে ধবল ফুল ইতোমধ্যে পরিণত হয়েছে সজিনায়। গাছে গাছে ঝুলে থাকা সবুজ লাঠি প্রকৃতিতেও ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। পুষ্টিগুণে ভরপুর ও আশঁজাতীয় সবজি সজিনার ভারে হেলে পড়েছে সজিনার গাছ । প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের বাড়ির পাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতে সজিনা চাষ করে পুষ্টির পাশাপাশি আর্থিক ভাবেও লাভবান হচ্ছেন উপজেলার কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার সজিনার বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,উপজেলার প্রায় কম বেশি বাড়িতে তিন-চারটি সজিনা গাছসহ জমির আইলে, রাস্তার পাশেও সজিনা গাছ লাগানো হয়েছে। এবছরের সজিনা লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।প্রতি বছরের মতো উপজেলায় সজিনা চাষ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে । এখান কার সজিনা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে বলে জানান।
উপজেলার পাটধারী এলাকার সজিনা চাষি আব্দুল মান্নান প্রামাণিক বলেন, বাড়ির সামনে রাস্তার ধারে ২টি সজিনার গাছ লাগানো হয়েছিল। গত বছর ওইসব সজিনার গাছ থেকে অনেক টাকার সজিনা বিক্রি করেছি । আশা করছি এবারও সজিনার বাম্পার ফলন পাব। স্থানীয় বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি সজিনার মূল্য ৬০ টাকা হতে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।উচ্চমূল্য পাওয়ায় খুশি চাষিরা। দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে সজিনা চাষে উদ্ধুদ্ধ হচ্ছে এই এলাকার অন্যান্য চাষিরাও।মৌসুম শেষে প্রতিবারের মতো এবারও ডাল রোপণ করা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমি জানান, সজিনা একটি পরিবেশবান্ধব ও অর্থকরি আশঁজাতীয় সবজি। এটি বাড়ির পাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতেও চাষ করা যায়। তাছাড়াও ঠান্ডা-গরম, লবণ, খরা সহিষ্ণু হলেও এ গাছ বাংলাদেশের সর্বত্রই জন্ম নেয়।আবহাওয়া অনুকূল থাকায় চলতি বছর সজিনার ভালো ফলন হয়েছে। এছাড়া সজিনা গাছের তেমন কোন রোগ-বালাই নেই বললেই চলে এবং অন্যান্য খরচও নেই। আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান থাকলে সজিনার বাম্পার ফলনও আশা করা যায়। বাজারে পুষ্টিগুণ ও চাহিদার কারণে প্রতি বছর এর আবাদ বাড়ছে।
পত্রিকা একাত্তর/মোঃ শাহাদত হোসেন