ব্লাস্টের আক্রমণে স্বপ্নভঙ্গ চাষির

জেলা প্রতিনিধি | জামালপুর

জেলা প্রতিনিধি | জামালপুর

১১ এপ্রিল, ২০২২, ২ years আগে

ব্লাস্টের আক্রমণে স্বপ্নভঙ্গ চাষির

প্রতিবছর বোরো আবাদ করে পুরো সংসারের চাহিদা পূরণ করেন কৃষক শেখ ফরিদ চলতি বছর বোরো মৌসুমে প্রায় তিন বিঘা জমিতে 'ব্রি-ধান ২৮ (ভিত্তি) আবাদ করেন। স্বপ্ন ছিল পরিবারের চাহিদা মেটাবেন কিন্তু তা আর হচ্ছে না। তাঁর আবাদ করা পুরো জমির ধানই ব্লাস্টের আক্রমণে চিটা হয়ে গেছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন তিনি। হতাশায় দিন কাটাচ্ছে ফরিদের পরিবার।

শেখ ফরিদ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা গ্রামের বাসিন্দা এছাড়াও এ রোগে উপজেলার ধান চাষের বৃহৎ এলাকা বকচরি ও ভরাদ্দহ বিলের অন্তত দেড় শতাধিক হেক্টর জমির ধানে শুধু চিটা দেখা দিয়েছে। এতে তাঁরা চরম লোকসানের মুখে পড়েছেন। চলতি বোরো মৌসুমে বিআর-২৮ জাতের ধানে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত খেত থেকে কৃষকের ঘরে ১০ কেজি ধানও তোলার সম্ভাবনা দেখছেন না। উপজেলার আদ্রা গ্রামের কৃষক শেখ ফরিদ জানান, তিন বিঘা জমিতে ভালো ফলনের আশায় ধান ২৮ (ভিত্তি) আবাদ করেন শিষ বের হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে পাকতে করে। ধানগুলোতে ক্রমেই চিটা দেখা দেয়। এরপর বিএডিসি নির্ধারিত স্থানীয় ডিলারের সঙ্গে পরামর্শ করে ধানে ওষুধ ব্যবহার করেন। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। এখন সব ধান চিটা হয়ে গেছে।

বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হালিম জানান, তিনি দিন মজুরের কাজ করে যা আয় করেছেন, তার সব জমির পেছনে ব্যয় করেছেন। চাষাবাদ করেই তাঁর সংসার চলে। প্রতিবছর তাঁর জমিতে ২৯ জাতের ধানের আবাদ করেন। কিন্তু ভালো ফলনের আশায় এ বছর নতুন জাতের ব্রি ধান ২৮ (ভিত্তি) আবাদ করেছেন।

আব্দুল হালিমের ২৫ কাঠা জমির সব ধান চিটা হয়েছে ২৫ কাঠা জমিতে এক মণ ধানও হবে না। চিটা হওয়ায় জমির ধান কেটে গরুকে খাওয়ানো হচ্ছে এখন সরকার থেকে অনুদান দিলে তাঁর চলার মতো উপায় থাকবে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল জানান, প্রতিদিনই ব্লাস্ট আক্রান্তের খবর আসছে। | এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমেই বোঝার সুযোগ থাকে না। প্রতিকারের সময়ও পাওয়া যায় না। এজন্য মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ আমরাও আগে থেকেই কৃষকদের সচেতন করেছি। ধানের কাইচ থোরের সময় কীটনাশক ছিটানোর পরামর্শ দিচ্ছি।

পত্রিকা একাত্তর/ সাকিব আল হাসান নাহিদ

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news