হারিয়ে যাবার পথে বক পাখি

উপজেলা প্রতিনিধি, হরিনাকুণ্ডু

১০ এপ্রিল, ২০২২, ২ years আগে

হারিয়ে যাবার পথে বক পাখি
ফাইল ছবি | পত্রিকা একাত্তর

হরিণাকুন্ডু উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগন্জে পুরনে বটগাছে ও বাঁশ বাগানে বহু বছর থেকে কলোনি স্থাপন করেছে বকেরা। সুনশান বাঁশ ঝাড়ের সমষ্টিগত যায়গাটি বকেদের দখলে ছিল।

একটা সময় উপজেলার নারায়নকান্দি, কায়েতপাড়া বাওড়, লালনের জন্মভূমি হরিশপুর বিলে, ভবানীপুরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কুমার নদী,বেলতলা ইচেমারা বিলে অহরহ চোখে পড়তো বকের কলোনি। কিন্তু বর্তমানে এই পাখি বিলুপ্ত হওয়ার পথে।

বকের বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। গ্রামাঞ্চল বা শহরের বিভিন্ন জলাশয়ের পাড়ে প্রায়ই এদের দেখা যেত। এদের বেশিরভাগ প্রজাতি সাধারণত গ্রীষ্ম থেকে বর্ষাকালে প্রজনন সম্পন্ন করে।

বর্ষাকালে বিভিন্ন জলাশয়ের পাড়ে শুরু হত বকের বাসা তৈরির কাজ। নিরাপদ বাসা তৈরির জন্য এরা জলাধারের পাশের উঁচু গাছগুলোকেই বেছে নিত।

কখনো কখনো বাঁশ বাগানের গভীরেও বসতি স্থাপন করতে দেখা যেত। এক একটি কলোনীতে শত শত বক একসাথে বাসা তৈরি করত। নিবিড় পরিচর্যায় ধীরে ধীরে বেড়ে উটত বকের ছানাগুলো।

বকপাখি অসুস্থ মাছ, ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ, উভচর সরীসৃপসহ প্রভৃতি প্রাণী খেয়ে বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য রক্ষা করে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের অতিপরিচিত নান্দনিক এই বক বিপন্নের পথে।

মানুষ মাছখেকো পাখি বেশি খায় বলে দিন দিন বকের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। ফাঁদ পেতে অবৈধভাবে বক শিকার, জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ, নদী নালা, খাল-বিল ভরাট করে শহরায়ন, বৃক্ষ নিধন প্রভৃতি কারণে বাংলাদেশে বকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।

এভাবে চলতে থাকলে বকের সংখ্যা কমে দেশের সামগ্রিক পরিবেশ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়বে।

উপজলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, আমাদের দেশের অনিন্দ্য সুন্দর এই বকের প্রজাতিগুলো রক্ষায় আবাসস্থল সংরক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।বক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিশেষ ভুমিকা পালন করে এবং ফসলের জন্য ক্ষতিকর কীট -পতঙ্গ খেয়ে কৃষকের বন্ধুরূপে পাশে থাকে।

পত্রিকা একাত্তর/ মাহফুজুর রহমান উদয়

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news