কোম্পানীগঞ্জে ওড়ে যাওয়া ছাই ভষ্মে অতীষ্ঠ পথচারী ও এলাকাবাসী

উপজেলা প্রতিনিধি, কোম্পানীগঞ্জ

উপজেলা প্রতিনিধি, কোম্পানীগঞ্জ

১০ এপ্রিল, ২০২২, ২ years আগে

কোম্পানীগঞ্জে ওড়ে যাওয়া ছাই ভষ্মে অতীষ্ঠ পথচারী ও এলাকাবাসী
ফাইল ছবি | পত্রিকা একাত্তর

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে একটি অটো রাইচ মিলের উচ্ছিষ্ট ছাই জনজীবন অতীষ্ঠ করে তুলেছে।

ভূক্তভোগী মানুষের অভিযোগ থেকে জানা যায় উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে আবাসিক এলাকায় স্থাপিত লুনা এগ্রো এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রিজ প্রাঃ লিমিটেড নামক রাইস মিলের ছাই জনজীবনে এমন ভোগান্তির সৃষ্টি করছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই অটো রাইস মিলের ছাই ফেলা হয় বসুরহাট-হাজারীহাট সড়কের পাশে টিনেঘোরা খোলা জায়গায়। এই ছাই বাতাসে উড়ে প্রতিনিয়ত এই সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন বয়সের মানুষ, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী, বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের চোখে পড়ে। এতেকরে সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে চায় এই সড়কে চলাচলকারী ও আশপাশে বসবাসকারীরা ।

চরহাজারী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুর রহমান জানান, খোলা জমিতেে ফেলা রাইসমিলের ছাই উড়ে এসে চোখে পড়ে চোখে প্রচন্ড যন্ত্রণা করে, চলমান গাড়ী চালকের চোখে পড়লে দূর্ঘটনার মূখে পড়ে। একবার চোখে ছাই পড়লে ২/৩দিন পর্যন্ত চোখে যন্ত্রণা করে, চোখ লাল হয়ে থাকে। তিনি আরে বলেন, এবিষয়ে রাইস মিলের তত্ত্বাবধায়ক বিপ্লব সাহা কে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করেও কোনরুপ প্রতিকার পাইনি।

বসুরহাট সেন্ট্রাল হসপিটালের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক এই সড়কে নিয়মিত মোটরসাইকেলে যাতায়াত করেন। তিনি জানান খোলা জমিতে ফেলা এই ছাই প্রতিনিয়ত উড়তে থাকে। এপথে মোটরসাইকেলসহ যেকোন যানবাহন চালানো কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ। গাড়ী চালানোর সময় চোখে ছাই পড়লে আর কিছুই দেখা যায়না। শুধু চোখ জ্বলতে থাকে। কয়েকবার মাটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় তার চোখেও ছাই পড়েছিল দাবী করে তিনি জানান, চোখে পড়া ছাই খুব ভূগিয়েছে।

জানতে চাইলে লুনা এগ্রো ইন্ডাষৃট্রিজ প্রাঃ লিমিটেড এর তত্ত্বাবধায়ক বিপ্লব সাহা জানান, অভিযোগকারীদের অভিযোগ সত্য, পার্শ্ববর্তী বাড়ীর পুকুর থেকে ঘন্টায় ৩শটাকা করে পানি ছিটিয়ে ছাই ওড়া বন্ধ করার চেষ্টা করেছি।

কিন্তু শুষ্ক মওসুম হওয়ায় পুকুরের পানি কমে যাওয়ায় তারা এখন আর পানি দিচ্ছে না। তবে স্থানীয় ভূক্তভোগীরা জানান, রাইস মিল মালিক কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে অগভীর নলকূপ বসিয়ে এসমস্যার সমাধান করতে পারে। কিন্তু তারা তা কেন করছেনা, তা আমাদের বোধগম্য নয়।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, লুনা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ওড়ে যাওয়া ছাই ভষ্মে যারা ভুক্তভোগী এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তারা লিখিত অভিযোগ করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

পত্রিকা একাত্তর/আবু সাঈদ শাকিল

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news