নেপথ্যে ছিনতাই' ব্যবসায়ী দুই গ্রুপের সংঘর্ষ- আহত ১৪

ডেস্ক নিউজ

৬ এপ্রিল, ২০২২, ২ years আগে

নেপথ্যে ছিনতাই' ব্যবসায়ী দুই গ্রুপের সংঘর্ষ- আহত ১৪

ঢাকার সাভারে একটি ছিনতাই কান্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে । এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে।

সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে কেনাকাটা করতে এসে মঙ্গলবার দুপুর ২ টা ২৫ মিনিটে ব্যাংকার আব্দুর রহিম ছিনতাইয়ের শিকার হন। ছিনতাইকারীকে ধাওয়া দিলে ছিনতাইকারীরা চৌরঙ্গী মার্কেট এর গলিতে ভরসা মার্কেটের দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাকে ধরতেই মূলত ঘটনার সূত্রপাত।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) ৩ টার দিকে সাভার বাজার বাস স্টান্ড এলাকায় চৌরঙ্গী সুপার মার্কেট সংলগ্ন ভরসা মার্কেট এর পশ্চিম পাশের গলিতে ব্যবসায়ী দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১৪ জন আহত হয়।

আহতদের মধ্যে হার্ডওয়ার ব্যবসায়ীদের হামলার শিকার মুরগি ব্যবসায়ী ভোলা জেলার দ্বীন ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আনু (২৩), মুরগি ব্যবসায়ী সাভার পৌরসভার ইমান্দিপুর এলাকার মোঃ হারুন অর রশিদের ছেলে রনি (২১), মুরগি ব্যবসায়ী একই এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে বাঁধন (১৮),মুরগি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হারুন এর ছেলে মাসুম (৩০),চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার লাওরা গ্রামের আলী হোসেন পাটোয়ারীর ছেলে ইমরান (৩৮) এবং মাইনুদ্দিন (৩৯) আহত হয়।

অপরদিকে মুরগি ব্যবসায়ীদের হামলায় হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী নরসিংদী জেলার দাদু মিয়ার ছেলে শরীফ (৩০) সে সাভারের মজিদপুর এলাকায় মোহাম্মদ সুলতান মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া,সাভারের মজিদপুর এলাকার শুকুর বেপারীর ছেলে সামসু বেপারী, হুমায়ুন, বাবুল ও শুভ আহত হয় ।

এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তারা হলেন, মুরগি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আনু (২৩), মুরগি ব্যবসায়ী সাভার পৌরসভার ইমান্দিপুর এলাকার মোঃ হারুন অর রশিদের ছেলে রনি (২১), তারা দু'জন সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন । অন্যদিকে হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী দাদু মিয়ার ছেলে শরীফ (৩০) সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রাজধানীর উত্তরা ৬ নাম্বার সেক্টর এর বাসিন্দা ব্যাংকার আব্দুর রহিম বলেন, আমি সাভার নিউ মার্কেট থেকে কেনাকাটা শেষ করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই। এসময় কয়েকজন আমার হাতে থাকা ব্যাগ গুলো ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাদের ধরতে আশপাশের মানুষের সহযোগিতা চাইলে তারা ছিনতাইকারীদের পিছু নেয়। পরে বাটা শোরুম এর পাশ দিয়ে হার্ডওয়ার এর গলিতে ঢুকলে হার্ডওয়ার ব্যবসায়ীরাও ধর ধর বলে পিছু নেয়। পরে একজন ছিনতাইকারীকে ধরে তারা মারধর করে। এতে মুরগি ব্যবসায়ী মাসুম বাধা দিয়ে ছিনতাইকারীকে চলে যেতে সাহায্য করে ।

তিনি বলেন, পালাতে সাহায্য করার বিষয়ে দুই এক কথায় শুরু হয় মুরগি ব্যবসায়ী ও হার্ডওয়ার ব্যবসায়ীদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক। এতে কোকারিজ ব্যবসায়ী সুলতান মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে হার্ডওয়ার ব্যবসায়ীদের উস্কে দেয়। সুলতান মিয়ার উস্কানিতে মাহফুজ, তোফাজ্জল, রনি, রানা, কয়েকজন পথচারীসহ আরও ১০/১৫ জন মুরগি ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা চালায়। এতে মুরগি ব্যবসায়ীরাও পাল্টা আক্রমণ করে ।

সংঘর্ষে আহতদের সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানেও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানে মুরগি ব্যবসায়ীদের আক্রমণের শিকার হন হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী শরিফ ও সামসু।

আহত মুরগি ব্যবসায়ী ইমরানের ভাই মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, আহতদের মধ্যে রনি ও আনোয়ার হোসেন আনুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসার জন্য তাদেরকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী রানা বলেন, চৌরঙ্গী মার্কেট এ হামলার ঘটনায় আহতদের সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে মুরগি ব্যবসায়ীরা আমাদের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। বর্তমানে শরীফ সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।

এঘটনায় সাভার মডেল থানায় দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এসআই শহীদ এবং সজল জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পত্রিকা একাত্তর/ মো: সোহাগ হাওলাদার

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news