রোজার আগমন মাত্র তিন-দিন হলো। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কালিতলা কাঁচাবাজারে সবজি কিনছিলেন আবুদর সালাম রুবেল ।তিনি মাছ, ও করলা কিনে লেবু কেনার জন্য দরদাম করছিলেন তিনি।
এইসময় লেবুর দাম জিজ্ঞেস করতেই বিক্রেতা বললেন- ১০ টাকা করে পারপিছ লেবু একদাম আর হালি নিলে ২টাকা কম নেওয়া যাবে।
প্রতি লেবুর দাম ১০টাকা। হিসেবে দেখা যাচ্ছে দুই কেজি আলুর দামে এক হালি লেবু!
ঠাকুরগাঁও গড়েয়া রোডে ইজিবাইক চালক সাদ্দাম জানতে তিনি বলেন বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের অন্য অন্য জেলা থেকে তাপমাত্রা বেশি থাকে। আজকে তাপমাত্রার বেশি।
এসময় রোজা থেকে লেবুর শরবত আর ঠান্ডা পানি শান্তি দেয়। রোজার আগে ভাত দিয়ে খাওয়ার জন্য লেবু কিনতাম ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা হালি। এখন একটা ১০ টাকা!
লেবু বিক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি জানান, লেবু আমরা বাজার থেকে কিনতেই হয় বেশি দাম। বেশি দামে কিনতে হলে বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়।
আমাদের কিছু করার থাকে না। ক্রেতারা রাগ দেখালে কিছু করার নাই। সবকিছুরই দাম বেশি। করলা, বেগুন,পটল আগের চেয়ে অনেক বেশি সেখানে তো রাগ দেখাতে পারছে না। আমরা অন্য সবজির সাথে সামান্য লেবুর বিক্রি করি। তেলের দাম দ্বিগুণ হয়েছে কারো মুখে কথা নাই।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে লেবু ৪০ থেকে ৪৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। সে হিসেবে এককেজি দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৭ থেকে ২০ টাকা।
ঠাকুরগাঁও গড়েয়া, বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, লেবুর আকারের সাথে দামের তারতম্য রয়েছে। বিক্রি হচ্ছে এলাচি লেবুর হালি ৩০/৩৫/ ৪০/ ৪৫ ও ৫০ টাকা।
এলাচি লেবুর বাইরে বাজারে সাধারণত কলম্বো, কাগজি লেবু পাওয়া যায়। তবে বাজারে এখন এলাচি লেবুর সরবরাহই বেশি। সুগন্ধি লেবু হিসেবে খ্যাত কলম্বো লেবুর সরবরাহও মন্দ নয়। এই লেবুর হালি ৪০ টাকা, অর্থাৎ প্রতিটির দাম সাড়ে ১০ টাকা।
লেবু বিক্রেতা আনারুল বলেন, আগে লেবু বাজার থেকে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা হাজারে কিনতে পাওয়া গেছে। এখন দাম বেড়ে গেছে। এখন ৭ থেকে ৮ হাজার লেগে গেছে। আমাদের বেশি দামে কিনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে লাভ খুব বেশি তাও না।
তিনি আরো জানান, এতো দাম থাকবে না। কিছুদিনের মধ্যেই কমে যাবে। রোজার প্রথম প্রথম দাম একটু বেশিই থাকে; পরে কমে যায়। তবে, শুধু লেবু নয়, অন্যান্য সবজিও একই অবস্থা।
পত্রিকা একাত্তর/ মোঃ আলমগীর