গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর বেলেরভিটা গ্রামের গৃহবধূ আদর রানীকে হত্যার দ্বায় স্বাীকার করেছে মানষিক ভারসাম্যহীন ছেলে আইয়ুব আলী। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ছেলে মাকে হত্যার কথা স্বাীকার করে। আটককৃত স্বামীকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। আদর রানী ওই গ্রামের মোনারুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তানের জননী। মোনারুলের আরও এক স্ত্রী রয়েছে। পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে ছেলে ও স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। শুক্রবার রাতে পুলিশের জিজ্ঞাসা ছেলে মাকে হত্যার দ্বায় স্বীকার করে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে গৃহবধূর বড় ছেলে আইয়ুব আলী (৩৫) মা ও বাবার সাথে খারাপ আচারণ করে আসছিল। ইতিপূর্বে কয়েক বার মা ও বাবাকে মারপিঠ করেছিল। বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূর স্বামী তার মেয়ে মনিরা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সকালে বাড়ি ফিরে এসে দেখে ঘরের মেঝে তার স্ত্রী পড়ে রয়েছে। স্বামীর চিৎকারে পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখতে পায় আদর রানী মারা গেছে। এলাকাবাসির দাবী ছিল মানষিক ভারসাম্যহীন ছেলে আইয়ুব আলীর কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
স্বামী মোনারুল ইসলাম জানান, তিনি মেয়ের বাড়িতে রাত যাপন করে। সকালে বাড়িতে এসে ঘরের মেঝেতে তার স্ত্রীকে পড়ে থাকতে দেখে। তার দাবী মানষিক ভারসাম্যহীন ছেলে মাকে গলা চেপে ধরে হত্যা করেছে।
মেয়ে মনিরা বেগম জানান, বাবা রাতে তার বাড়িতে ছিল। সকালে উঠে সে বাড়ি চলে যায়। কিছুক্ষণ পর মার মৃত্যুর খবর পায়। তার দাবি ভাই আইয়ুব আলী মাকে হত্যা করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম জানান, গৃহবধূর ছেলে একজন মানুষিক রোগী। এর আগে মা বাকে মারপিট করেছিল। তবে তার ধারণ্ মৃত্যুটি স্বাভাবিক নয়।
ওসি এম এ আজিজ জানান, আটককৃত ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বাীকার করে মাকে গলাচিপে হত্যা করেছে। এনিয়ে নিহতের ভাই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। গতকাল শনিবার আসামি আইয়ুব আলীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পত্রিকা একাত্তর/হযরত বেল্লাল