সরিষাবাড়ীতে ফসলী জমির মাটি ইটভাটায়; মাটি ও রাস্তার প্রচুর ক্ষতি

সরিষাবাড়ি প্রতিনিধি

সরিষাবাড়ি প্রতিনিধি

৩১ ডিসেম্বর, ২০২১, ২ years আগে

সরিষাবাড়ীতে ফসলী জমির মাটি ইটভাটায়; মাটি ও রাস্তার প্রচুর ক্ষতি

সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বড়শরা গ্রামে সরকারি কাচা রাস্তা কেটে, গ্রামীণ রাস্তা নষ্ট করে অবৈধ কাকড়া গাড়ি ব্যবহার করে ফসলি জমির মাটি নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। জমির ওপরের অংশ অর্থাৎ টপ সয়েল ইটভাটায় যাওয়ায় জমির উর্বরতা হারাচ্ছে। এতে করে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়ে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে । দ্রুত মাটি বিক্রি রোধ ও কাকড় গাড়ী চলাচল বন্ধ করতে না পারলে এবং ইটভাটার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আগামীতে খাদ্য ঘাটতিসহ ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন সচেতনরা।

উপজেলায় প্রায় ২০টি ইটভাটা আছে। যার অধিকাংশেরই পরিবেশ অধিদফতরের কোনো ছাড়পত্র নাই।

ইট তৈরির প্রধান কাঁচামাল মাটি। ফসলি জমির মাটি ইট তৈরিতেও সুবিধা। এছাড়া হাতের নাগালে হওয়ায় কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়ে এ মাটি কিনে নেয় একটি পক্ষ। এরপর তারা বেশি দামে ইটভাটায় সরবরাহ করে থাকেন।

মাটি বিক্রি করায় ফসলি জমির উপরিভাগের মাটিতে যে জিপসাম বা দস্তা থাকে তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া মাটিতে যে জীবাণু থাকে এবং অনুজীবের কার্যাবলি আছে তা সীমিত হয়ে যাচ্ছে। এতে করে দিন দিন ফসলি জমিতে উৎপাদন ক্ষমতা কমছে। মাটির জৈব শক্তি কমে গিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়বে। আর এভাবে ফসলি জমির মাটি ইট ভাটায় যেতে থাকলে আস্তে আস্তে ফসল উৎপাদন ব্যহত হবে।

উপজেলার খাগুরিয়া গ্রামের কৃষক খোকা মিয়া ও মিজানুর রহমান বলেন, মূলত ফসলি জমির উপরের অংশের মাটি ইটভাটায় বিক্রি করা হয়ে থাকে। এতে করে দেড় থেকে দুই বছর ওই জমিতে তেমন ফসল উৎপাদন হয় না। তবে প্রচুর পরিমাণ জৈব সার, খৈল, জিপসাম, ফসফেট ও পটাসসহ বিভিন্ন সার ব্যবহার করা হলে আগের মতো আবাদ হয়ে থাকে।

বিলবালিয়া গ্রামের কৃষক আবুল কালাম বলেন, জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রি করলে জমির কী ধরনের ক্ষতি হয় তা তিনি জানেন না।

উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এভাবে ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় যেতে থাকলে ফসল উৎপাদন ব্যহত হবে। কমপক্ষে ২/৩ বছর ওই জমি থেকে ভালো ফলন আশা করা যায় না। এতে করে আগামীতে খাদ্য ঘাটতির সম্ভবনা রয়েছে।তিনি আরও বলেন,এরজন্য দায়ী কৃষকেরা।আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি উপরের মাটি হলো উর্বর মাটি।কিন্তু কৃষকেরা নগদ টাকার লোভে মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে।অ্যাসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিবেন।

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news