নড়াইলের শেখহাটি ইউনিয়ন ওএমএস কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

২৩ মার্চ, ২০২২, ২ years আগে

নড়াইলের শেখহাটি ইউনিয়ন ওএমএস কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা ভোটের কাজ করেনি নির্বাচনে নির্বাচিত সদস্য সেই সমস্ত অসহায় দুস্থ্য মানুষদের ওএমএস কার্ড কেড়ে নিয়েছেন। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ড সদস্য এরশাদ শেখের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর সদস্যরা এলাকায় মানববন্ধন করেন।

ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শেখহাটি ইউনিয়নে মোট ২১৭ জনের নামে ১০ টাকা কেজি দরে চাল কেনার কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৭৮টি কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

৮ নম্বর ওয়ার্ডের পচিশা গ্রামের এনামুল মোল্যা বলেন, আমার কার্ড নাম্বার ৬০। ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি চাল পেতাম। বর্তমান মেম্বর এরশাদ শেখ নতুন করে কার্ড দেবার নাম করে আমার কার্ড নিয়ে গেছে। আমি গরীব মানুষ। দিনমজুরী করে সংসার চালাই। তিনি বলেন, করোনার কার্ড দেবার নামে আমার কাছ থেকে ৫০ টাকা নিয়েছে। কার্ড চাইলে মেম্বর এখন কথা বলে না, ধমক দেয়।

একই গ্রামের চায়না বেগমের (৫০) স্বামী নেই। পরের জায়গায় ঝুপড়ি বেধে বাস করেন। তিনি বলেন,মেম্বরের কাছে আমি একখান কার্ড চাইছিলাম। দেয়নি।

স্থানীয় মসজিদের ইমাম হাফেজ মো.শাহাবুদ্দিন মোল্যা বলেন, আমি গরীব মানুষ। আমাকে একখান কার্ড দেয়নি। কার্ড চাইলে অপমানসূচক কথা বলে মেম্বর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের একাধিক মানুষ বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে যারা মেম্বরের পক্ষে নির্বাচনী কাজ করেনি ভোটে জিতে যাবার পর সেই পরিবারগুলোর কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে ইউপি সদস্য এরশাদ শেখ এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, যে পরিবারে একাধিক কার্ড রয়েছে যেমন বিধবাভাতা, বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধীভাতাসহ অন্যান্য এবং যাদের পরিবার একটু স্বচ্ছল শুধুমাত্র সেই পরিবারগুলোর কার্ড চেয়ারম্যানের নির্দেশে কর্তন করে অন্য দুস্থ্য পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডে ৭৮ জনের নামে কার্ড বরাদ্দ আছে। সেখান থেকে আমি ২৬ জনের নাম কর্তন করে অন্য দুস্থ্য পরিবারের মধ্যে কার্ডগুলো বিতরণ করেছি। তিনি দাবি করে আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদবির করে আমার ওয়ার্ডে আরো ৬টি কার্ড বেশি বরাদ্দ এনেছি।

শেখহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলক কুমার বিশ্বাস বলেন,আমার ইউনিয়নে এমনও পরিবার আছে যে পরিবারে একাধিক কার্ড রয়েছে। যাদের খোলা বাজার থেকে সব কিছু কেনার সামর্থ আছে তেমন পরিবারগুলোকেও কার্ড দেওয়া হয়েছে। পরিষদের পক্ষ থেকে তদন্ত সাপেক্ষে যাচাই বাছাই করে সেই সমস্ত পরিবারগুলোর কার্ড কর্তন করে নতুন অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এখানে কোন প্রকার ছলচাতুরি করা হয়নি। যারা এ ধরণের অভিযোগ করছেন তা সঠিক নয়। তিনি বলেন, অসহায় পরিবার কার্ড পাননি আমার পরিষদে এসে এমন কেউ অভিযোগ করেননি।

পত্রিকা একাত্তর/ হাফিজুল নিলু

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news