সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে ১৯৬০ সালে স্থাপিত হয়েছে রামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে এই বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণ না থাকায় অন্যের দখলে চলে যাচ্ছে বিদ্যালয়ের ৭৫ শতাংশ ভূমি। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটিতে কোন্দল থাকায় পড়াশুনায়ও বিঘ্ন ঘটছে। অতি প্রাচীন এই রামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমির সীমানা নির্ধারণ ও সীমানা প্রাচীর না থাকায় বিদ্যালয় মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবৈধভাবে একাধিক দোকানঘর নির্মাণ ও পুকুর খনন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হান্নান, আব্দুল লতিফ, আব্দুল হাই, আব্দুল হাকিম ও আব্দুর রহমান। পুকুরপাড়ে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ কেটে বিক্রি করেছেন তাঁরা। নিজেদের জায়গা দাবি করে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের পিছনে পাকা টয়লেট পর্যন্ত দখলে রেখেছেন তাঁরা।
উত্তর রামপুর মৌজার জেএল নং-১২, খতিয়ান নং- ০২, দাগ নং- ২১৭, জায়গার পরিমাণ ৭৫ শতাংশ। ১৯৮৯ সালের ১৬ মার্চ দলিল রেজিস্ট্রার হয়েছে। যার নং- ৫১৮। জায়গা নির্ধারণ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি গ্রামের আব্দুল কাদির, মাইনুল হক, রুহুল আমিন, হারুনুর রশিদ, আব্দুল ওয়াহিদ, দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল হাই, আব্দুল ওয়াদুদ সহ ২৯ জনের স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদনও দেয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হাসান বলেন, রামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন প্রধান শিক্ষক গত ১৩ মার্চ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের সকল সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিউর রহিম জাদিদ বলেন, রামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণের জন্য দুই বার সার্ভেয়ার পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সীমানা নির্ধারণের সময় স্থানীয়রা ঝগড়া শুরু করে দেন। এই কারণে সার্ভেয়ার ফিরে আসেন। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার অগ্রগতি বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হবে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সফর উদ্দিন বলেন, রামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং সীমানা নির্ধারণ করার ব্যবস্থা করা হবে ।
পত্রিকা একাত্তর/ শাহীন মিয়া