ভোলার লালমোহনের বদরপুর ইউপি নির্বাচনে ভোট আগামীকাল সোমবার। নির্বাচনে সাতজন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ সদস্য পদে মোট ৬২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মামলা আতঙ্কে রয়েছেন প্রার্থীরা। কাল নির্বাচন হলেও ভোটের মাঠে প্রচারণায় তোড়জোড় নেই প্রার্থীদের। দুস্থদের চাল চুরির মামলার আসামি ও জেলে যাওয়া ইউপি সদস্যরাও আবার প্রার্থী হয়েছেন। তারাই পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচন বন্ধের জন্য বারবার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভোটারসহ অন্য প্রার্থীরা। ভোটের আগ মুহূর্তে আবারও নির্বাচন বন্ধ হবে বলে এলাকায় গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানা গেছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়নটিতে ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফরিদুল হক তালুকদার পরাজয়ের ভয়ে তার ভাতিজা ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওমর ফারুক তালুকদারকে দিয়ে হাইকোর্টে নির্বাচন বন্ধের জন্য মামলা করেন। মামলার পর ওই সময় চার সপ্তাহের জন্য বদরপুর ইউপি নির্বাচন স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পরে নির্বাচন কমিশন ২১ মার্চ পুনরায় ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে। বদরপুর ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী মো. আল-আমিন বলেন, যারা নির্বাচন বন্ধের জন্য মামলা করেছেন তাদের এলাকায় জনপ্রিয়তা নেই। মামলার বাদী নিজেও চাল চুরি মামলায় জেল খেটেছেন। করোনার প্রথম দিকে দুস্থদের জন্য বরাদ্দের চাল চুরির দায়ে জেল খাটেন তিনি। একই মামলায় ইউনিয়নটির বর্তমান চেয়ারম্যানও সাময়িক বহিষ্কৃত হন। একই সময় ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জুয়েলের বসতঘরে মাটির নিচ থেকে একাধিক সরকারি চালের বস্তা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায়ও মামলা হয়। সেই জুয়েল ওই ওয়ার্ড থেকে স্ত্রীসহ আবারও সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, নিজেদের পরাজয়ের ভয়েই নির্বাচন বন্ধের মামলা করছেন তারা। অথচ এ মামলার কারণে আমাদের প্রার্থীরা হয়রানি ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চাই ২১ তারিখে যেন সঠিকভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। হাতপাখা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শিহাব উদ্দিন জানান, ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়তা না থাকায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও তার লোকজন ভোট হবে না বলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তবে এখন আবার প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা নিজেরাও। এ ব্যাপারে বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফরিদুল হক তালুকদারের মুঠোফোনে কথা বলার জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে তার ভাতিজা ও নির্বাচন বন্ধের মামলার বাদী ওমর ফারুক তালুকদার বলেন, ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডের ভোটার সমান করার জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছি। এর বেশি কিছু আমি জানি না। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমীর খসরু গাজী বলেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন শেষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার ২৯ হাজার ৪৮৪ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১৪ হাজার ২৮৪ জন।
পত্রিকা একাত্তর / নিয়াজ মাহমুদ জয়