”আমি অসুস্থ আমারে মারিসনা, পানি খাইতে চাইলেও ওরা আমায় পানি খাইতে দেয়নি”- এভাবে ঘটনার বর্ননা দিলেন আমতলীতে কিশোর গ্যাংয় তোহা, রাহাত ও রবিউলের হামলার শিকার কলেজ শিক্ষার্থী নবাব তালুকদার। আমতলী সরকারি কলেজের সামনে গত ১৩.০৩.২০২২ ইং তারিখ রোজ রবিবার আনুমানিক দুপুর ১২.০০টার দিকে ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যায়।
হামলার শিকার কলেজ শিক্ষার্থী নবাব জানান,অটোরিকশা থেকে তোহা এবং রবিউল এসে আমাকে জোরপূর্বক ভাবে ধরে নিয়ে যায় মোটরসাইকেলে করে মোটরসাইকেল ড্রাইভ করেছিল রবিউল আমি তার পিছনে বাসা আর আমার পিছনে বসা ছিল তোহা। যাওয়ার পথে আমতলী পৌরসভা এক নাম্বর ওয়ার্ড থেকে তাদের সঙ্গে মিলিত হয় রাহাত। এক নাম্বার ওয়ার্ড থেকে বাইকে যাওয়ার সময় রাহাত এবং তোহা আমাকে অনবরত মাথা এবং গালে চড় ঘুষি দিতে থাকে পুরো গাড়িতে বসেই তারা আমাকে মারে। তারা আমাকে নিয়ে যায় আমতলী পৌরসভা পার্শ্ববর্তী এলাকা বৈঠাকাটা অঞ্চলে। এরপর তারা বৈঠাকাটা নদীর পাড়ে নির্জন স্থানে আমাকে নিয়ে যায় সেখানে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার চাপাটি এবং সুরি রড নিয়ে হাজির হয় কালু নামের এক ছেলে। তারা দেশীয় অস্ত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখিয়ে আমাকে ভয় দেখায় এবং আমতলী উপজেলা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং আমতলী পৌরসভা 9 নং ওয়ার্ডের কমিশনার জি,এম দেলোয়ার হোসেনের এর ছোট পুত্র জি,এম মূসাকে ফোন দিয়ে গালাগালি করতে বলে এবং তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভিন্ন কটুক্তি মূলক পোস্ট এবং লাইভে গিয়ে তাকে গালাগালি করতে বলে নামে কটুক্তি বলে। এগুলো না করায় তারা আমাকে অনবরত মাড়তে থাকে একপর্যায়ে আমাকে মারতে মারতে আমার বাম পাশের কান এবং নাক ফেটে যায় ঠোঁটের উপরের অংশ কেটে যায় আমি রক্তাক্ত অবস্থায় থাকার পরও তারা আমাকে অনবরত মারতে থাকে। এবং আমার কাছ থেকে আমার ফোন নিয়ে যায় সেটা নিয়ে ভাঙার চেষ্টা করে। কালু নেশায় আসক্ত ছিল সে আমাকে বুকের উপর লাথি মারে এবং অনবরত আমার মুখে এবং কানে থাপ্পর দিতে থাকে আশেপাশের লোকজন চলে আসলে তাদেরকে উল্টোপাল্টা বলে পাঠিয়ে দেয় । তোহা রবিউল রাহাত কালু একাএ হয়ে আমাকে অনেক মারধোর করে আমি রক্তাক্ত হয়ে যাওয়ার পরেও তারা থামেনি আমাকে মারতেই থাকে এবং আমাকে বলে থানায় মামলা দিলেও আমাদের কিছু হবে না। আমতলীতে তোর কে কে আছে নিয়ে আয় তোকে কেউ বাঁচাবে না তোকে যেন দ্বিতীয়বার আমতলী শহরে না দেখি। দেশীয় ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সেই অস্ত্র দিয়ে অস্ত্র উল্টা করে আমার পিঠে এবং ঘাড়ে হাতে আঘাত করে এবং রবিউল পাইপ দিয়ে আমার হাত বারি দেয় রাহাত মাথার পিছন দিক থেকে অনেকবার ঘুসি দেয়। তোহা গায়ের শক্তি করে করে থাপ্পড় দিয়ে আমার বাম পাশে কান থেকে রক্ত বের করে ফেলে এবং রবিউল আমার নাকে ঘুসি দেয়। তাদের অনেক অনুরোধ করি আমি অসুস্থ আমায় মারিসনা তারপর মারধর করার পরেও ওদের কাছে পানি খাইতে চাইলে ওরা আমায় পানিও খেতে দেয়নি।
উল্লেখ্য কে এই তোহা যার উৎপাত আর অত্যাচারে আমতলী উপজেলার সাধারণ মানুষ ভয় ও আতংকে দিন কাটাচ্ছে। বিশ্বস্ত সূএে জানা গেছে তোহা, রাহাতও রবিউল এরা নিম্নবিও থেকে আজ শহরে কথিত এক রাজনৈতিক নেতার ছএছায়ায় মাদক ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে,এদের হাত থেকে একাধিক নিরীহ শিক্ষার্থী ও এমনকি যুবলীগের ত্যাগী নেতারা রেহাই পাইনি।পৌরসভার সাধারণ মানুষ মনে করেন,এদের বিরুদ্ধে এখনি কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন না করলে ভবিষ্যতে বরগুনার নয়ন বন্ডের মত এদের হাতে নিরীহ মানুষের প্রান বিপন্ন হবে।তাই বড় ধরনের দূর্ঘটনা এড়াতে এখনি পদক্ষেপ নেয়া জরুরী এমনটি মনে করেন আমতলীর সুশীল সমাজের লোকজন।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পত্রিকা একাত্তর/মোঃ মনিরুল ইসলাম