নীলফামারীর ডোমারে আনারুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তার ভাতিজা মো. মজনু’র কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে তা ফেরত না দিয়ে আত্মসাতের পায়তারা করছেন বলে টাকার দাবীতে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন মজনু।
এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে ডোমার ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে সালিসি বৈঠক হলে আনারুল ইসলাম স্বাক্ষর দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও টাকা কবে দিবে সে বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে তিনি সকলের কাছে সালিশ ডাকার জন্য ক্ষমা চান।
ভুক্তভোগী মো. মজনু জানান, আনারুল ইসলাম আমার নিজের চাচা হন। আমার কাছে ধারের জন্য তিনি ৩ লক্ষ টাকা চান। আমি তাকে বলি টাকা দিবো তবে প্রমাণ থাকতে হবে। আর আমিও কাজ করে খাই। কষ্ট করে টাকা জোগাড় করেছি জমি কেনার জন্য। আমার সেই টাকা কয়েকদিন পর আমার চাচা সোনারায় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড খাটুরিয়া গ্রামের ইসহাক আলীর পুত্র আনারুল ইসলাম ১৮/০১/২০২১ তারিখে তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার করে আমার কাজ থেকে নগদ ৩ লক্ষ টাকা ধার নেন। এরপর আমাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল। তবে ১৫ ফেব্রুয়ারী আসার পর থেকে তিনি আর আমার সাথে কোন যোগাযোগ রাখেন না। ফোন দিলে ফোন ধরেননা। আমি একজন গরীব দিনমজুর। কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে চাচার কথায় বিশ্বাস রেখে তাকে টাকা ধার দেই। এ বিষয়ে আমি তাকে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। এর মধ্যে তিনি টাকা পরিশোধ করলে করবে আর না করলে আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করবো।
পত্রিকা একাত্তর/রিশাদ