মালিকানাধীন জমিতে পশুর হাট

সুনামগন্জ জেলা প্রতিনিধি

১২ মার্চ, ২০২২, ২ years আগে

মালিকানাধীন জমিতে পশুর হাট

সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাঘবেড় বাজারে ব্যক্তি মালিকাধীন ভূমিতে প্রভাবশালী মহল কতৃক জোরপূর্বক পশুর হাট বসানোর অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্টের রায়ে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকার কথা থাকলেও গায়ের জোরে পশুর হাটের কার্যক্রম চলমান রেখেছে একটি কুচক্রী মহল- এমন অভিযোগ করেছেন বাঘবেড় গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে শাহেদ আলী ও শাহেদ আলীর ছেলে জামাল উদ্দিন।

রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঘবেড় বাজারের উত্তরপাশে পবিত্রতার চিহ্ন বুকে ধারণ করে রয়েছে বাঘবেড় গ্রামের কবরস্থান। আবার পাশেই গরু-ছাগলের হাট। কবরস্থানের একেবারে পাশ ঘেঁষে গরু-ছাগলের হাট থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই কবরস্থানের পবিত্রতা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা থেকে যায়। অবৈধ পশুর হাটটি বন্ধ করণে বাঘবেড় গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে শাহেদ আলী ও শাহেদ আলীর ছেলে জামাল উদ্দিন পৃৃথকভাবে দু’টি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ১০৩ - ২০১৫ ইং ও ২২-২০১৭ ইং।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাঘবেড় গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে শাহেদ আলী ও শাহেদ আলীর ছেলে জামাল উদ্দিনের নামীয় ব্যক্তি মালিকাধীন জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে পশুর হাট বসিয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। এবিষয়টি কয়েকবার গণমাধ্যমে আসার পরেও রহস্যময় কারণে প্রশাসনতা বন্ধ করছেন না বুঝতে পারছি না।

মো. জমাল উদ্দিন বলেন, আমি আইনের উপর শ্রদ্ধাশীল, মহামান্য হাইকোর্টের রায়কে শ্রদ্ধাকরি। মহামান্য হাইকোর্ট আমার জায়গার বিষয়ে বলেন, সকল ধরণের কাজ স্থিতিশীল থাকবে, বর্তমানের কাজ চলমান আছে বাজার আগের নিয়মেই হচ্ছে। তাহলে কি মহামান্য হাইকোর্টকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে না?

বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মো. জামান শাহরিয়ার বলেন, যদি আদালত স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার কথা বলে তাহলে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সকল কার্যক্রম স্থিতিশীল থাকবে। যেহেতু মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ, সেক্ষেত্রে বাজার ও কোনধরনের নির্মাণ কাজ চলতে পারবে না এবং সকল প্রকার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ- বাঘবেড় বাজারের চিহ্নিত কিছু প্রভাবশালী মহল আছে যারা অবৈধ পশুর হাট বসিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেই হুমকি ও মামলার শিকার হতে হয়। প্রভাবশালীদের ভয়ে নাম প্রকাশ করতে ইচ্ছুক নয় এলাকাবাসী।

বাঘবেড় বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, বাজারে গরু-ছাগল নিয়ে প্রবেরেশর জন্য ভালো কোন রাস্থা নেই। বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাঘবেড় বাজারে যে পশুর হাট রয়েছে, পশুর হাটে প্রবেশ করার মতো কোন রাস্তার সুবিধা নেই। হাটের পশ্চিম পাশের রাস্তায় (মরা নদী নামে একটি নদী রয়েছে) যার উপর বাঁশের ছাটাই দিয়ে একটি সাঁকো রয়েছে। সাঁকোটিরও বেহাল অবস্থা। মানুষ আসা-যাওয়ার জন্য ও উপযুক্ত নয়। হুমকির মুখে। দক্ষিণ পাশ দিয়ে খাল রয়েছে। পূর্ব পাশ দিয়ে আবাদি ফসলে জমি। উত্তর পশে কবরস্থান। বিতর্কিত ভূমি আর অনুপযোগী জায়গাতে পুশুর হাট বন্ধনে দাবি এলাকাবাসীরও।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রশাসক মো. সাজিউর রহিম জাদিদ তিনি বলেন, ২০১৭ সাল থেকে খাস কালেকশন করা হচ্ছে যেহেতু মামলা চলমান তাই নিলাম (ইজারা) হচ্ছেনা।

পত্রিকা একাত্তর/শাহীন মিয়া

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news