ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ না করার প্রতিবাদে হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির মানববন্ধন

সুনামগন্জ জেলা প্রতিনিধি

১২ মার্চ, ২০২২, ২ years আগে

ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ না করার প্রতিবাদে হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির মানববন্ধন

বর্ধিত সময়ের মধ্যে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ না করার প্রতিবাদে ১২ মার্চ বেলা ১২ ঘটিকার সময় সুনামগঞ্জ আলফাত স্কয়ারে হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির আয়োজনে এক মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়।

হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি ছাতক উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়।

বক্তব্য রাখেন - হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি সুখেন্দু সেন, যুগ্ম সম্পাদক নির্মল ভট্রাচার্য্য, সালেহিন চৌধুরী শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক একে কুদরত পাশা, হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আলী হায়দার, মোদাচ্ছির আলম সুবল, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদনুর আহমদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউর রহমান, বাঁধ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, তাহিরপুর উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব হোসাইন শরীফ বিপ্লব, কৃষক আব্দুল আজিজ, মিনার মিয়া, জয়নাল মিয়া, জগলুল মিয়া, জিতু মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, হাওর আর সীমান্ত ঘেঁষা সুনামগঞ্জ জেলা প্রবল বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ডলের কারণে দেখা দেয় আগাম বন্যা। মার্চের দিকে আগাম বন্যা হয়। এই বছর ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শতভাগ বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বাঁধের কাজ শেষ হয়নি এখন পর্যন্ত। একই সাথে হাওর রক্ষার বাঁধের কাজে উঠেছে অনিয়ম- দুর্নীতি। এই বছরের অনিয়ম আর লুটপাট অন্যান্য বছরকে হার মনিয়েছে।

দিরাই উপজেলার তুফান খলী ও দিরাই উপজেলার বৈশাখী এলাকার বাঁধের কাজ সবচেয়ে বেশি অনিয়ম ও অসমাপ্ত রয়ে গছে। তাহিরপুর উপজেলার আলমখালী ক্লোজারের বাঁধ নিয়েও আছে আশংকা। নীতিমালায় পিআইসির কাজের অগ্রিম টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও কেন তারা টাকা পাচ্ছে না। যার ফলে বাঁধের কাজ দুর্বল হচ্ছে যে-কোন সময় পাহাড়ি ঢল আসলেই বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা। হাওরের কৃষকদের একমাত্র বেচেঁ থাকার অবলম্বন বোরো জমিতে সোনালী ফসল ফলানোর পর ফসল রক্ষা করার জন্য সরকার প্রতিবছর শতকোটি টাকার উপর বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু র্দূনীতিবাদ কর্মকর্তার যোগসাজসে অদক্ষ ভূমিহীনদেরকে টাকার বিনিময়ে পিআইসি কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক করে দেন। ফলে নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও বাধঁগুলো থেকে যায় অরক্ষিত। তারা বিলের অজুহাতে কাজে ধীরগতি এমন দোহাই দিয়ে সময় কালক্ষেপন করে যাচ্ছেন ফলে দিনি দিন কৃষকরা অরক্ষিত বাধঁ দেখে তাদের কষ্টার্জিত সোনালী ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কিনা নাকি অকাল বন্যায় তাদের ফসল ভাসিয়ে নিবে এমন আশংঙ্কায় দিন কাটছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীলরা কেন সময়মতো প্রতিটি পিআইসি কমিটিকে বিল পরিশোধ করছেনা এমন অভিযোগ হাওর বাচাঁও কমিটির নেতৃবৃন্দের । তারা দাবী করেন সঠিক তদারকি এবং সময়মতো পিআইসির বিল পরিশোধ করলে নির্ধারিত সময়ের আগেই জেলার প্রতিটি বাধেঁর কাজ সম্পন্ন হতো। অবিলম্বে যে সকল বাধঁগুলোতে অনিময় আর র্দূনীতি হচ্ছে তা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমাদানের পাশাপাশি দ্রæত গতিতে সকল অরক্ষিত বাধেঁর কাজ সম্পন্ন করা এবং পুরাতন বাধেঁ অতিরিক্ত বরাদ্দ বাতিল করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান।

উপস্থিত ছিলেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক আনোয়ারুল হক, হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আলীনুর, স্বপন দাশ, চন্দন রায়,প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান,তথ্য সম্পাদক বিমল বনিক, সদস্য রবিন্দ্র দেব, ফারুক আহমদ, এম আর শামীম তালুকদার, হাওর বাঁচাও আন্দোলন শান্তিগঞ্জ উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি জিয়া উদ্দিন,শৈলেন সূত্রধে, শিমুলবাঁক ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, তাহিরপুর উপজেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাইদুল কিবরিয়া, তুজাম্মিল হক নাছরুম, সদস্য গোলাম মওলা,একরাম হোসেন প্রমুখ।

পত্রিকা একাত্তর/শাহীন মিয়া

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news