শুক্রবার (১১ মার্চ) সকাল ১১ ঘটিকায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধি ফরিদের ঘর উদ্বোধন করা হয়েছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ফরিদ মাত্র দুই বছর বয়সে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চোখের দৃষ্টি হারান। তারপর থেকে অন্যের সহযোগিতা নিয়ে চলতেন তিনি। পরবর্তী সময়ে আবছা আলো আর আন্দাজের ওপর ভর করেই জীবনের গণ্ডি পাড়ি দিয়ে চলছেন।
সংসারজীবনে দুই ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা তিনি। ছোটবেলা থেকেই শাক, আর কুমড়া বিক্রি করে আয়-রোজগার করতেন। স্ত্রী নাজমা বেগম কাজ করেন অন্যের বাসায়। আর বাড়িতে পালন করেন একটি গরু ও দুটি ছাগল। স্ত্রী-সন্তানসহ থাকেন অনেক বছর আগের তৈরি করা একটি মাটির ঘরে। আলাদা কোনো ঘর না থাকায় গরু, ছাগলের সঙ্গে স্ত্রী-সন্তানসহ বসবাস করে আসছেন ফরিদ হোসেন।
ফাটল ধরা ও জরাজীর্ণ সেই মাটির ঘরটির অবস্থা বেশ নাজুক। যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টিতে ঘরের ভেতরে পানি পড়ে। অন্যদিকে এক চৌকিতে জায়গা হয় না সবার। আর রাতে গরু-ছাগলের মলমূত্রের গন্ধে ঘুমাতে পারেন না তারা। তাই রাতের বেলায় রাস্তায় পায়চারী বা চৌকির পাশে বসে রাত কাটাতে হতো ফরিদ হোসেনকে।
আজ থেকে ফরিদকে আর কষ্ট করে থাকতে হবে না। গরু ও নতুন ঘর পেয়ে অনেক আনন্দিত। ফরিদ বলেন, "আমি অত্যান্ত কষ্টে দিন পার করছিলাম, আমার থাকার ঘর ছিলো না। আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে সেভ হিউম্যান লাইফ। আমি দোয়া করি যারা আমার এই ঘরের কাজের জন্য সহযোগিতা করেছেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেভ হিউম্যান লাইফ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাইফুল্লাহ আল হেলাল, প্রজেক্ট কো অর্ডিনেটর রেজাউল করিম রানা, রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় সমন্বয় আব্দুল কাদের বিপ্লব, স্থানীয় লোকজন ও গণমাধ্যম কর্মীগণ।
সেভ হিউম্যান লাইফ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বলেন, " ফরিদ ভাই নাগরিক ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাকে ঘর দেয়ার মাধ্যমে আমরা তার মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি"।
পত্রিকা একাত্তর/আব্দুল্লাহ আল সুমন